গত মাসের শুরুতেই আইসিএমআর-এর সঙ্গে বৈঠকে দৈনিক এক লক্ষ করোনা পরীক্ষার প্রস্তাব উঠেছিল। আর মাস পেরোতে না পেরোতেই সেই প্রস্তাব বাস্তবায়নের পথে হাঁটল পশ্চিমবঙ্গ। ভারতে ব্যবহৃত কোনো যন্ত্রের সাহায্যেই এত বেশি মানুষের পরীক্ষা করা সম্ভব নয়। আর তাই সুইডেন থেকে ৮টি কোবাস যন্ত্র আমদানি করতে চলেছে রাজ্য।
রাজ্য সরকার সূত্রে জানানো হয়েছে, আরটিপিসিআর পদ্ধতিতে রোগ নির্ণয়ে সক্ষম কোবাস যন্ত্রটিকে আমেরিকার সরকারি সংস্থা আগেই স্বীকৃতি দিয়েছে। আইসিএমআর থেকেও স্বীকৃতি পেয়েছে যন্ত্রটি। একটি যন্ত্রের সাহায্যের মাত্র পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টার মধ্যে ১২ হাজার মানুষের লালারস পরীক্ষা করতে পারবে এই যন্ত্র।
আপাতত সুইডেন থেকে ৮টি যন্ত্র আমদানি করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন বন্ধ থাকায় এগুলি আসছে জাহাজে। এবং সেই জাহাজ ইতিমধ্যে নোঙর তুলে নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, প্রথম দফায় কলকাতা এবং উত্তর বঙ্গের বাছাই করা সরকারি হাসপাতালে এই যন্ত্রের ব্যবহার করা হবে। পরে তার পরিধি আরও বাড়ানো হবে। এছাড়া স্বাস্থ্য দপ্তরের তথ্য বলছে, এতদিন যেখানে প্রতিদিন করোনা পরীক্ষার জন্য গড়ে আড়াই কোটি টাকা খরচ হত, সেখানে কোবাস যন্ত্রের ব্যবহারে লাভ না হলেও ক্ষতি হবে না।
এই রাজ্যে ইতিমধ্যে কোবাস যন্ত্র ব্যবহারের জন্য চিকিৎসকদের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে। সেইসঙ্গে কলকাতা স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের অধিকর্তা প্রতীপ কুণ্ডুর কথায়, এই যন্ত্রের সাহায্যে করোনা অতিমারী কতদূর ছড়িয়েছে সেটা সম্পর্কেও একটা আন্দাজ পাওয়া যেতে পারে। ইতিমধ্যেই দেশের ১৫টি ল্যাবরেটরি থেকে এই যন্ত্রের জন্য বরাত দেওয়া হয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম আসতে চলেছে কোবাস। আর করোনার বিরুদ্ধে লড়াইতে রাজ্যকে একধাপ এগিয়ে রাখতে এখন কোবাসের উপরেই ভরসা রাখছেন সরকার।
Powered by Froala Editor