সামান্য সাফাইকর্মী থেকে বিমানের ক্যাপ্টেন, নাইজেরিয়ার ব্যক্তির শিখর ছোঁয়ার গল্প

ছোটবেলায় বড়োরা বলতেন, কাজ করে যাও। পরিশ্রম করে যাও। এমনকি, ‘থ্রি ইডিয়টস’ সিনেমাতেও প্রায় একই কথা বলেছিল ‘র্যা ঞ্চো’ আমির খান। কথাটা যে কতটা সত্যি, তার প্রমাণ অনেকেই দেখিয়েছেন নিজের জীবনে। আরও একবার সেই কাজটা করলেন মহম্মদ আবুবাকের। তিনি অত বিখ্যাতও নন। কিন্তু তাঁর নিষ্ঠা আজকে অন্য শিখরে নিয়ে গেছে। এই গল্প বিমানের একজন সামান্য সাফাইকর্মী থেকে প্লেন ক্যাপ্টেন হওয়ার…


এই গল্পটা শুরু হয়েছিল আজ থেকে ২৪ বছর আগে। নাইজেরিয়ার সেদিনকার তরুণ মহম্মদ আবুবাকের স্কুল পাশ করে চলে গিয়েছিলেন কাডুনা পলিটেকনিকে। ইচ্ছা ছিল আরও পড়াশোনা করবেন। কিন্তু ভাগ্যের ফের! যখন গেলেন, তখন অনেকটা দেরি হয়ে যায়। ততদিনে অ্যাডমিশন প্রক্রিয়াও শেষ হয়ে গেছে। এবার কী করবেন? হার মানেননি আবুবাকের। টাকা তো রোজগার করতে হবে। সেই সূত্রেই ঢুকে পড়লেন এয়ার আজমানে। সেখানে একজন বিমান সাফাইকর্মী হিসেবেই কাজ শুরু করেন। সামান্য টাকা, সেটাই তাঁর কাছে তখন অনেক। 


সবাই ভেবেছিল, আবুবাকের এত কম টাকায়, এই সামান্য কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু তাদের ভুল প্রমাণ করে আস্তে আস্তে নিজের জায়গা তৈরি করতে থাকেন তিনি। পরিশ্রম, নিষ্ঠা— সবকিছু দিয়ে কাজ শিখতে থাকেন। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই আবুবাকের হয়ে ওঠেন সেখানকার গ্রাউন্ড স্টাফ। কিন্তু পরিশ্রম আর শেখা থামান না তিনি। তাঁর এই নিষ্ঠা নজরে আসে এয়ার আজমান কর্তৃপক্ষেরও। গ্রাউন্ড স্টাফ থেকে কেবিন ক্রিউ মেম্বার, তারপর ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট— পদ আর মাইনে একইসঙ্গে বাড়তে থাকে। সেখান থেকে আজ তিনি প্লেনের ক্যাপ্টেন পাইলট। মহম্মদ আবুবাকের নিজেই জলজ্যান্ত ইন্সপিরেশন। কঠোর পরিশ্রম, কাজের প্রতি সৎ থাকা— এইভাবেই তিনি পেরিয়েছেন একের পর এক ধাপ। নিজের লক্ষ্যও পূরণ করেছেন। কিন্তু থামেননি এখনও। স্বপ্নের উড়ান তো এখনও বাকি…

Powered by Froala Editor

More From Author See More