পুজোর আর মাত্র কয়েকটা দিন। ঢাকে কাঠির ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনেও আগমনীর হাওয়া লেগেই গেছে। তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুজোয় এবার পর্যটকদের জন্য নয়া গন্তব্যের উপহার নিয়ে আসতে চলেছে গাজলের আদিনা পার্ক। মাত্র ৫০০ মিটারের মধ্যে আদিনায় তিনটি কেন্দ্রকে ঘিরে পর্যটন সার্কিট গড়ার ভাবনা চিন্তা করা হচ্ছে।সেখানে থাকবে প্রজাপতি পার্ক, শিশুদের জন্য নতুন নতুন রাইড এবং এরই সাথে বোটিং করার সুযোগও।
মালদা থেকে ২০ কিমি উত্তরে অবস্থিত এই আদিনা। এই অঞ্চলটির অন্যতম দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে আদিনা মসজিদ অন্যতম।সিরিয়ার উমাইয়া মসজিদের আদলে তৈরি এই আদিনা মসজিদটি দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম মসজিদ ও সর্বাধিক প্রাচীন বলেও দাবি ইতিহাস গবেষকদের।এই মসজিদের পাশেই প্রশাসনের উদ্যোগে গড়ে তোলা হচ্ছে এই ইকো পার্ক।
পুজোর মরসুমে পর্যটকদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করার জন্য এখানে বহু নতুন জিনিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।পার্কের জমিতে লাগানো হয়েছে নানান ফল ও ফুলের বাহারি গাছ এবং দেওয়া হয়েছে তাদের বিজ্ঞানসম্মত নামও। প্রজাপতির লার্ভা দিয়ে প্রজাপতি পার্ক তৈরি করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।শুধু তাই নয়, সারাদিনের ক্লান্তির পর পর্যটকেরা যেন দু'দণ্ড স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে পারে তার জন্য পার্কের পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে ঝাঁ চকচকে গেস্ট হাউস। দশমীর পরেও মায়ের চলে যাওয়ার দুঃখ বহুদিনের জন্য মানুষের মনে স্থায়ী হয়ে থেকে যায়। কচিকাঁচারাও যেন মুহুর্তের মধ্যে ঝিমিয়ে পড়ে।বড়রাও এর প্রভাব থেকে বাদ যায় না। তাই মন খারাপের এই রেশ কাটানোর জন্য আদিনা পার্ক পর্যটকদের কাছে এবারের পুজোয় তাক লাগানো উপহার বলা যেতেই পারে।