করোনার জন্য গোটা দেশে এখন আপতকালীন অবস্থা। লকডাউন তো চলছেই, সেই সঙ্গে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে চলছে যুদ্ধকালীন ব্যস্ততা। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা দিনকে দিন তো বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। পশ্চিমবঙ্গেও নতুন উদ্যোগ নিল অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি। করোনায় যুদ্ধের জন্য সরকারের পাশে দাঁড়াতে বিশেষ কিছু উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানাল এই বিখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন
লকডাউনে স্তব্ধ রাজ্য, বয়স্ক ও অসুস্থ মানুষদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন যাঁরা
ইতিমধ্যেই করোনার জন্য গঠিত রিলিফ ফান্ডে ১০ লাখ টাকা দিয়েছে এই প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ‘এইটুকু’তেই থেমে থাকতে চাইছে না তারা। প্রহরের সঙ্গে কথা হচ্ছিল অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির চ্যান্সেলর সমিত রায়ের। তিনি জানালেন, “বারাসতে অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির যে পরিকাঠামো আছে, তা পূর্ব ভারতে সবথেকে বড়ো। এই মুহূর্তে যা অবস্থা ওখানে, তাতে প্রায় ৩০-৪০ জন ডাক্তার তাঁদের পরিবার নিয়ে থাকতে পারেন। আমাদের গার্লস হোস্টেলে প্রায় ৬০০ নার্স থাকতে পারে। পুরুষ স্বাস্থ্যকর্মীদের কথা বললে ৮০০ জন থাকতে পারেন। এছাড়াও ইউনিভার্সিটির ভেতরেই আমরা অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরির ব্যবস্থাও করতে পারি। তেমন পরিকাঠামো আছে আমাদের। প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ বেডেরও বন্দোবস্ত করা যাবে। এই মুহূর্তে যে অবস্থা চারিদিকে, যেভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এটা খুবই সহায়ক হতে পারে বলে মনে হয়। বোর্ড মিটিংয়েও আমরা সকলে এই ব্যাপারে সহমত হয়েছি।”
আরও পড়ুন
ভিডিও-তেই চলছে পড়াশোনা, ঘরবন্দি দিনগুলোয় উদ্যোগ সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের
আপাতত লিখিত আকারে এই পুরো ব্যাপারটাই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জানানো হয়েছে। সবরকম ভাবে যাতে করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো যায়, সেই চেষ্টাই করবে অ্যাডামাস, এমনটাই জানালেন সমিতবাবু। শুধু আক্রান্ত নয়, ডাক্তাররাও যাতে সুবিধা পান, সেটাও দেখা হবে। প্রশাসনের তরফ থেকে সবুজ সংকেত পেলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে বারাসতের অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে।