তখন পশ্চিমবঙ্গে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে ধীরে ধীরে। অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির কর্তৃপক্ষ ঘোষণা করেছিল, প্রয়োজনে রাজ্য সরকারকে ১০০০ বেডের কোভিড আইশোলেশন সেন্টার দিতে তারা রাজি। পরবর্তীকালে তাদের ক্যাম্পাস তারা তুলেও দেয় রাজ্য সরকারের হাতে। সেইসঙ্গে ডাক্তার এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন্য বিদ্যালয়ের একাংশের ব্যবস্থাও করে। শুধু তাই নয়, ওখানে কোভিড আক্রান্ত বা কোভিড সাসপেক্ট যাঁরা ছিলেন তাঁদের খাওয়াদাওয়া বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় বা স্যানিটাইজেশন ইত্যাদিরও দায়িত্ব নিয়েছিল অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর রিলিফ ফান্ডে দান করেছিল দশ লাখ টাকা।
পশ্চিমবঙ্গের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে নেহাত কম নয় এই পদক্ষেপ। এই বিরল উদ্যোগকেই স্বীকৃতি জানাল দেশ-বিদেশের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়। তারমধ্যে রয়েছে ভিটাস বেরিং কামচাটকা ইউনিভার্সিটি (রাশিয়া), বাথ স্পা ইউনিভার্সিটি (ইউ কে), পেট্রা ক্রিশ্চান ইউনিভার্সিটি (ইন্দোনেশিয়া), ইউনিভার্সিটি অফ জেনোয়া (ইটালি), ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ ফার্মেসি (ইউক্রেন), ন্যাশনাল ইকনমিক ইউনিভার্সিটি(ইউক্রেন), ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (বাংলাদেশ), যেসজো ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (পোল্যান্ড), মঙ্গোলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ এডুকেশন, ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন'স হিউম্যান রাইটস উইদাউট ফ্রন্টিয়ারস ইন্টেলিজেন্স (বেলজিয়াম) ইত্যাদি। তারা অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি এবং চ্যান্সেলর প্রফেসর সমিত রায়-এর এই উদ্যোগটিকে বিশ্বব্যাপী মহামারীর পরিস্থিতিতে তাদের এই এগিয়ে আসাকে প্রশংসিত করেছেন এবং শুভেচ্ছাবার্তা জানিয়েছেন। সারা বিশ্বের এই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির থেকে প্রশংসা এবং অভিনন্দন পেয়ে স্বভাবতই খুশি অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ।
এই মহামারীর পরিস্থিতিতে এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্যই মূলত এই স্বীকৃতি। এই প্রসঙ্গে সমিত রায় বলেন, ইউনিভার্সিটির সমস্ত সদস্যরাই একত্রিত হয়ে একটি টিম হিসাবে কাজ করেছে। আর সে-কারণেই এই অসম্ভবকে সম্ভব করা গিয়েছে। একইসঙ্গে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি তার পড়ুয়াদের যাতে কোনও সমস্যা না হয় তার জন্য পড়াশুনা এবং ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্কের মধ্যেও প্রযুক্তিকে যথাসম্ভব দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োগ করেছে। সব মিলিয়েই পশ্চিমবঙ্গের একটি বিশ্ববিদ্যালয় যে আন্তর্জাতিক স্তরে এই স্বীকৃতি ও প্রশংসা পেল তা নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
করোনা রুখতে এবার রাজ্যে অ্যান্টিজেন টেস্ট, রিপোর্ট মিলবে ১০ মিনিটেই