প্রয়াত অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়, শোকের ছায়া বাংলা সিনে দুনিয়ায়

প্রয়াত অভিনেতা সন্তু মুখোপাধ্যায়। বাংলা চলচ্চিত্র জগতে এ যেন এক নক্ষত্রপতন। হাইপারটেনশন ও সুগারের কারণে গত মাসে বেশ কিছুদিন তিনি ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। সন্তু মুখোপাধ্যায় বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠিত মুখ। ইদানীংকালে বড়ো পর্দার পাশাপাশি দাপটের সঙ্গে অভিনয় করছিলেন ছোটো পর্দাতেও। টলিউড হারাল তার এক অভিভাবককে।

আরও পড়ুন
গুপীর চরিত্রে অভিনয় করতে চেয়েছিলেন সৌমিত্র, রাজি হননি সত্যজিৎ

১৯৫১ সালে জানুয়ারি মাসে কলকাতায় জন্ম তাঁর। বেড়ে ওঠাও এই শহরের অলিগলি ধরেই। ভবানীপুর মিত্র ইনস্টিটিউশনে প্রাথমিক শিক্ষালাভ ও পরবর্তীতে পদ্মপুকুর ইনস্টিটিউশন থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন সন্তু মুখোপাধ্যায়। না, আর এগিয়ে নিয়ে জাননি পড়াশোনা। বরং হাত ধরেছিলেন নিজের স্বপ্নের, নিজের ইচ্ছার। গোপাল ভট্টাচার্যের কাছে নৃত্যশিক্ষা নিতে ভর্তি হন এরপর। বেশ কিছুদিন শিখেছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীতও। তাঁর গানের গলা যে দরাজ, সে কথা দর্শকদের অজানা ছিল না।

আরও পড়ুন
গান শিখেছেন অতুলপ্রসাদের কাছে, বাসি খাবার খেতে যেতেন উত্তমকুমারের বাড়িতে

১৯৭৫ সালে ২৪ বছর বয়সে সিনেমায় প্রবেশ তাঁর। খ্যাতনামা পরিচালক তপন সিনহার হাত ধরে। ছবির নাম ‘রাজা’। এমন এক আত্মপ্রকাশের পর আর থেমে থাকেননি সন্তু। একের পর এক বিখ্যাত পরিচালকদের ছবিতে বারবার নিজেকে প্রমাণ করে গেছেন নানা চরিত্রে। তরুণ মজুমদার, সলিল সেন, শঙ্কর ভট্টাচার্য, এমনকি কৌশিক গাঙ্গুলীর ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি। এই দীর্ঘ ইনিংসে কেবলই দর্শকদের মন জয় করে গেছেন সন্তু। তাঁর বড় মেয়ে স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় বাংলা চলচ্চিত্রের এক জরুরি মুখ।

আরও পড়ুন
হারিয়ে যাওয়া রিল পুনরুদ্ধার, ৬৩ বছর পর ‘মুক্তি’ পাবে কিশোর কুমারের সিনেমা

সবমিলিয়ে কেবল পরিবার নয়, বৃহত্তর পরিবার অর্থাৎ টলিউড হারাল তার এক অভিভাবককে। সশরীরে না হলেও তিনি দর্শকদের মাঝে থেকে যাবেন তাঁর সৃষ্টিতে।