বুধবার সকাল-সকাল এক দুঃসংবাদ। চলে গেলেন অভিনেতা ইরফান খান। বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। আজ সকালে মুম্বইয়ের কোকিলাবেন হাসপাতালে প্রয়াত হলেন তিনি।
দীর্ঘ দু-বছর ধরে ক্যানসারে ভুগছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেতা। গতকাল সংকটজনক অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় আইসিইউ-তে। সেখানেই প্রয়াত হলেন তিনি। মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত ক রা হয়েছে কোলন ইনফেকশনকে।
দিনকয়েক আগেই রাজস্থানে মারা গিয়েছেন ইরফান খানের মা। লকডাউনের কারণে মায়ের শেষকৃত্যে উপস্থিত হতে পারেননি তিনি। অবশেষে, মৃত্যুর ছায়া নেমে এল তাঁর নিজের জীবনেও। ঘণ্টাখানেক আগেও ইরফান খানের মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, বেঁচে থাকার লড়াই তীব্রভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন এই অভিনেতা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না কিছুতেই।
বলিউড তথা ভারতীয় সিনেমাকে একের পর এক অবিস্মরণীয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন ইরফান। ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম শক্তিশালী অভিনেতা হিসেবে তাঁর জয়যাত্রা ছিল অব্যাহত। তবে এই সাফল্যে পিছনে স্ট্রাগলের গল্পও কম রোমহর্ষক নয়। অবশেষে অভিনয়ের জোরে নিজের আলাদা জায়গা তৈরি করে নেন ইন্ডাস্ট্রিতে। বছরকয়েক আগে, বাংলাদেশের মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী পরিচালিত 'ডুব' সিনেমাতেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এছাড়াও 'পান সিং তোমর', 'পিকু', 'দ্য লাঞ্চবক্স', 'স্লামডগ মিলিওনিয়ার', 'লাইফ অফ পাই' সহ অসংখ্য ভালো সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি। দেশের গণ্ডি ভেঙে, প্রকৃত অর্থেই হয়ে উঠেছিলেন আন্তর্জাতিক।
ইরফান খান অভিনীত শেষ চলচ্চিত্র 'আংরেজি মিডিয়াম' মুক্তি পায় লকডাউন শুরুর আগেই। বক্স অফিসে হিটও হয় সেটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আর সেই সাফল্যের স্বাদ উপভোগ করা হয়ে উঠল না তাঁর। কোলনে সংক্রমণ কেড়ে নিল তাঁর জীবন। দর্শকরাও হারাল এক অনবদ্য অভিনেতাকে।