ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূলে জাতীয়তাবাদের যে তাত্ত্বিক ভিত্তি বা আইডিয়ালিজম্, সেই আদর্শ অনেকাংশেই হিন্দু সংস্কৃতির প্রভাবে পুষ্ট। তৎকালীন নেতৃবর্গ একে প্রায়শই ধর্মযুদ্ধের মহিমা দিতে চেয়েছেন, কারণ ভারতের গণমানুষ স্বভাবত ধর্মপ্রাণ। 'দেশ'-কে মূর্তিমন্ত করে তাঁরা 'ভারতমাতা' নাম দিয়েছিলেন, স্বাধীনতা-যুদ্ধ হয়ে উঠেছিল এই দেবীর সেবাকার্য, যার মূল মন্ত্রটি ছিল বঙ্কিমচন্দ্র-উদগীত "বন্দেমাতরম্!"
কিন্তু এই 'ভারতমাতা' ধারণাটি এল কোথা থেকে?
আমরা যে ভূমির উপরে রয়েছি, সেই ভূমিকে 'মা' বলে ডাকার অভ্যাস আমাদের বহুদিনের। এই সংস্কার প্রায় সারা বিশ্বেই কম বেশি রয়েছে। ভারতেও, আমরা এই পৃথিবীকে 'ভূদেবী' বলে দিব্য মহিমায় অলংকৃত করেছি। সেই সঙ্গে মাতৃকা-উপাসনা বা শক্তি-উপাসনার সূত্রে, আমরা নির্দিষ্ট অঞ্চলের অধিষ্ঠাত্রীরূপেও বিভিন্ন মাতৃরূপা দেবীর উপাসনা করে এসেছি যুগের পর যুগ ধরে। 'ইষ্টদেবতা' ব্যক্তিবিশেষের আরাধ্য, 'গৃহদেবতা' পরিবার-বিশেষের। ক্রমশ আরো বড়ো পরিসরের অধিষ্ঠাতৃ দেবতার কথা যদি দেখি, দেখব ভারতের গ্রামে গ্রামে রয়েছে 'গ্রামদেবতা'-র অধিষ্ঠান, যেমন ষষ্ঠী, মনসা, শীতলা, চণ্ডীর 'থান'; জমজমাট নগরে রয়েছেন 'নগরদেবতা', যেমন কাশীপুরাধীশ্বরী অন্নপূর্ণা; এবং একটি সুবিস্তীর্ণ রাজ্যের রক্ষয়িত্রী হিসাবেও স্ত্রী-দেবতার পূজা চলে আসছে, যেমন ত্রিপুরা রাজ্যের অধীশ্বরী 'ত্রিপুরেশ্বরী'। 'মা' ধারণাটির সঙ্গে যেহেতু সুরক্ষা, পালন-পোষণ ও ক্ষমাসুন্দর স্বভাবের অঙ্গাঙ্গী সম্পর্ক, তাই অঞ্চল-বিশেষের পালয়িত্রী দেবতা হিসাবে মাতৃপূজার প্রাধান্য এত প্রবল। সেই সঙ্গে, দুর্গ-রক্ষয়িত্রী দেবী হিসাবে 'দুর্গা'-র মাহাত্ম্য প্রাচীনকাল থেকে এ ভূমিতে সুবিদিত।
তবে, এই মাতৃ-উপাসনা যখন দার্শনিক তাৎপর্যে মণ্ডিত হয়েছে, দেবী তখন আর নির্দিষ্ট ভূমিখণ্ডের পালয়িত্রী বলে চিহ্নিত হচ্ছেন না, তিনি হয়ে উঠছেন বিশ্বজননী, তাঁর মাতৃত্ব তখন "All inclusive", তাঁর অঙ্কে আবিশ্ব সকলের ঠাঁই। তাই শ্রীশ্রীচণ্ডীতে দেবীর নামান্তর ‘জগদ্ধাত্রী’।
আরও পড়ুন
জনসংখ্যা মাত্র ৩০০, স্বাধীনতার দাবিতে লড়ছে ইতালির ছোট্ট গ্রাম
অখণ্ড ভারতবর্ষের অধিষ্ঠাত্রী একতমা দেবীর ধারণাটি ব্রিটিশ যুগের আমদানি। জম্বুদ্বীপের অন্তর্গত 'ভারতবর্ষ' নামক ভূখণ্ডের ধারণা বহু শতকের প্রাচীন, কিন্তু অন্তর্দ্বন্দ্বে দীর্ণ ভারত-ভূখণ্ডে ব্রিটিশ শাসনের আগে অখণ্ড দেশভক্তি ছিল না বললেই চলে। এই ধারণাটি এসেছে পাশ্চাত্য জাতীয়তাবাদের তত্ত্ব থেকে, এসেছে দেশবাসীর পরাধীন যন্ত্রণার যুগে। আর, এদেশের পণ্ডিত ও তাত্ত্বিকেরা সেই ধারণাকে নিজেদের মতো গড়ে-পিটে নিয়ে যে দেবীর আবির্ভাব ঘটালেন, তিনিই 'ভারতমাতা'।
আরও পড়ুন
বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতা হারাচ্ছেন সাংবাদিকেরা, পিছিয়ে নেই ভারতও
ভারতমাতার উজ্জ্বলতম আবির্ভাব যে গ্রন্থে, তার নাম 'আনন্দমঠ'। বঙ্কিমচন্দ্রের এই উপন্যাসেই সন্তান দলের অন্যতম বীর ভবানন্দের মুখে প্রথম মল্লার রাগে, কাওতালি তালে শোনা গেছে দেশমাতৃকার বন্দনাগান:
আরও পড়ুন
স্বাধীনতার পরেও প্রায় তিন বছর ‘ব্রিটিশ শাসন’ জারি ছিল ভারতে!
"বন্দে মাতরম্
সুজলাং সুফলাং মলয়জশীতলাম্
শস্যশ্যামলাং মাতরম্।
শুভ্র-জ্যোৎস্না পুলকিত-যামিনীম্
ফুল্লকুসুমিত-দ্রুমদলশোভিনীম্,
সুহাসিনীং সুমধুরভাষিণীম্
সুখদাং বরদাং মাতরম্।"
এই গানে ভারতমাতার প্রাথমিক পরিচয় ব্যক্ত। তিনি স্বর্গাদপি গরীয়সী জননী জন্মভূমি, তিনি দুর্গা-কমলা-বাণীর একত্রীভূতা মূর্তি, মন্দিরে মন্দিরে তাঁরই প্রতিমার পূজা, তিনিই বাহুতে শক্তি, হৃদয়ে ভক্তি, এবং সর্বশরীরে প্রাণস্বরূপে অধিষ্ঠাত্রী। এ হেন বিশ্বজনীন মাতৃমূর্তিও কিন্তু, বিশেষভাবে একটি বিশেষ ভূখণ্ডের সপ্তকোটি সন্তানের জননী। জগদম্বিকার মহিমা বর্ণনায়, এইখানেই সংকোচনের শুরু।
এরপর, কাহিনির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে সন্তানদলের গুরু সত্যানন্দ মহেন্দ্রকে এই ভারতমাতার বিগ্রহ দেখিয়েছেন। সেই দেবীপ্রতিমার বর্ণনায় বলা হচ্ছে, "বিষ্ণুর অঙ্কোপরি এক মোহিনী মূর্তি - লক্ষ্মী সরস্বতীর অধিক সুন্দরী, লক্ষ্মী-সরস্বতীর অধিক ঐশ্বর্যান্বিতা। গন্ধর্ব, কিন্নর, দেব, যক্ষ, রক্ষ তাঁহাকে পূজা করিতেছে।" অতি সূক্ষ্ণবুদ্ধি বঙ্কিম এর বেশি বর্ণনা দেননি। যা দেখে দেবতাবিশেষকে চিহ্নিত করা যায়, সেইসব কিছুই বলা হল না - গাত্রবর্ণ, বাহুসংখ্যা, নেত্রসংখ্যা, বাহন, বসন-ভূষণ-আয়ুধাদি কিছুই নয়। এই অনুক্তির ফলেই, পরবর্তীতে শিল্পীরা নিজের নিজের কল্পনার মাধুরী মিশিয়ে ভারতমাতার বহুবিচিত্র মূর্তি ও ছবি প্রস্তুত করার স্বাধীনতা লাভ করেছেন। যেমন অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর। নিজের কল্পনা অনুযায়ীই ভারতমাতার ছবি এঁকেছেন তিনি। সেখানে তিনি গৈরিক বসনে আবৃতা চতুর্ভুজা যোগিনী। চার হাতে রয়েছে ধান্য, বস্ত্র, বিদ্যার আকর পুঁথি, আর ধর্মসাধনার দ্যোতক জপমালা।
এরপর সত্যানন্দ ওই দেবীরই কালভেদজনিত মূর্ত্যন্তর হিসাবে বঙ্গদেশে বহুল প্রচলিত তিনটি দেবীপ্রতিমা মহেন্দ্রকে দেখিয়েছেন। যথাক্রমে জগদ্ধাত্রী - "মা যা ছিলেন", কালী - "মা যা হইয়াছেন", এবং দুর্গা - "মা যা হইবেন"। পরিচিত দেবীরূপের সঙ্গে ভারতমাতার ঐক্য না দেখালে তাঁর মহিমাপ্রচারের ক্ষেত্রে নানা প্রশ্ন উঠতে পারে, সেই সম্ভাবনাকে নিরস্ত করতেই বঙ্কিমের এই সিদ্ধান্ত। এখানে তিনি চরিত্রদের মুখে শ্রীশ্রীচণ্ডী থেকে উৎকলিত দেবীর প্রণাম মন্ত্রও শুনিয়েছেন,
"সর্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্বার্থসাধিকে। শরণ্যে ত্রম্বকে গৌরি নারায়ণি নমো'স্তুতে।।"
এইভাবে বঙ্কিম বেশ সুকৌশলে দেবীর মাহাত্ম্য প্রচার করলেন বটে, কিন্তু কয়েকটা খটকা থেকে গেল। একটু আগে বন্দেমাতরম্ গানে যে দেবীকেই দুর্গা, লক্ষ্মী ও বাণী বলা হয়েছে, তিনি হয়ে উঠলেন লক্ষ্মী ও সরস্বতীর থেকে পৃথক ও গরীয়সী এক স্বতন্ত্র দেবী। তাঁর তিনটি রূপান্তরই শিবগৃহিণী, অথচ মূল স্বরূপে তিনি(লক্ষ্মীর উপস্থিতি সত্ত্বেও) বিষ্ণুর অঙ্কশোভা। এবং, ওই তিন রূপান্তরের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রেও বঙ্কিম প্রচলিত ঐতিহ্য ছেড়ে নিজস্ব ব্যাখ্যা কল্পনা করলেন।
কালীর উদাহরণটি নিয়ে আলোচনা করা যাক। শাস্ত্রীয় ঐতিহ্যে কালী পরমাপ্রকৃতি, পার্থিব বস্ত্রাবরণের অতীত, তাই দিগম্বরী। কিন্তু বঙ্কিম লিখলেন, "হৃতসর্বস্বা, এইজন্য নগ্নিকা।" কালীর কণ্ঠবিলম্বিত মুণ্ডমালা পঞ্চাশৎ বর্ণমালার প্রতীক, অথচ বঙ্কিম জানালেন, "আজি দেশে সর্বত্রই শ্মশান- তাই মা কঙ্কালমালিনী"। কালীর পদতলে শবরূপী শিবের অবস্থান সক্রিয়া প্রকৃতির অধীনস্থ নিষ্ক্রিয় পুরুষের দ্যোতক - কিন্তু বঙ্কিম 'শিব' অর্থে 'মঙ্গল' ধরে নিয়ে বললেন, "আপনার শিব আপনার পদতলে দলিতেছেন- হায় মা!"
স্পষ্ট বোঝা যায়, বঙ্কিমের এই তত্ত্ববিপর্যয় একেবারে ইচ্ছাকৃত। দেশবাসীর মনে দেশমাতৃকার প্রতি ভক্তি জাগরুক করে তোলার জন্যই তাঁর এই পাণ্ডিত্য-চতুর বাগ্-বিলাস। 'আমার দুর্গোৎসব' রচনায় কমলাকান্তের মুখেও আমরা সত্যানন্দেরই প্রতিধ্বনি শুনব, তিনিও দুর্গাপ্রতিমার অভিনব ব্যাখ্যা শোনাবেন, "দিগভুজা, নানা প্রহরণধারিণী শত্রুমর্দ্দিনী, বীরেন্দ্রপৃষ্ঠবিহারিণী- দক্ষিণে লক্ষ্মী ভাগ্যরূপিণী, বামে বিদ্যাবিজ্ঞানমূর্তিময়ী, সঙ্গে বলরূপী কার্ত্তিকেয়, কার্য্যসিদ্ধিরূপী গণেশ..." ইত্যাদি ইত্যাদি। এই মূর্তিও বিশেষভাবে ছয় কোটি সন্তানের আরাধ্যা 'বঙ্গপ্রতিমা'। তবে, এইখানে বঙ্কিম আরো একটা সূক্ষ্ম চাতুরি খেলেছেন, কমলাকান্তের এই দেবীদর্শনকে তিনি বলেছেন আফিঙ খাওয়ার ফলশ্রুতি। অর্থাৎ, দেবীর এই অভিনব ব্যাখ্যাকে হৃদয়ঙ্গম এবং প্রচার করবার জন্য, একটু মাদকতা, একটু নেশার ঘোর, একটু বিভ্রমবিলাসের দরকার আছে!
আর, এই ভারতমাতা মূলস্বরূপে কেন বিষ্ণু-অঙ্ক-আসীনা? কারণ, বঙ্কিমের প্রচারিত নব্য হিন্দুয়ানির ঝোঁকটা তো মূলত কৃষ্ণ-কেন্দ্রিক! সেখানে আদর্শ মানব ও আরাধ্য ভগবান, দুইই কৃষ্ণ, কৃষ্ণমুখোদগীর্ণ শ্রীমদ্ভগবদগীতার ব্যাখ্যাবিশেষ সেখানে শাস্ত্র, কৃষ্ণকাহিনীর একটি কাট-ছাঁট করা সেন্সরড সংস্করণ সেখানে পাঠ্য। তাই, ভারতমাতাও স্বাভাবিকভাবেই কৃষ্ণ-সমাশ্রিতা। তাই 'আনন্দমঠ' উপন্যাসে কল্যাণীর স্বপ্নে, পথের কাঁটা কল্যাণীকে সরাবার জন্য সাশ্রুনয়ন ভারতমাতাকে বিষ্ণুর কাছে দরবার করতে হয়!
যাই হোক, বঙ্কিমের এই তত্ত্ববিপর্যয়ের ফল যেটা দাঁড়াল, গণমানসে জগন্মাতা হয়ে উঠলেন ভারতমাতা, যিনি বিশেষভাবে ভারতবাসীর প্রতি স্নেহসিক্তা, এবং ব্রিটিশদের প্রতি খড়গহস্তা। ভারতমাতার এই রূপকে কেন্দ্র করেই কাজী নজরুল ইসলাম রীতিমতো পৌরাণিক ছাঁচ ব্যবহার করে ভারতের স্বাধীনতা-সংগ্রামকে দুর্গা-অসুরের যুদ্ধের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছিলেন। আরোই অনেক কবি-শিল্পীই এই কীর্তি করেছেন। দুর্গোৎসবে মহিষাসুরের জায়গায় বসেছে লালমুখো সাহেবের মুখ!
এই সংস্কৃতি- এ দেশের মুক্তির জন্য অপরিহার্য ছিল অবশ্যই। কিন্তু, এর সুদূরপ্রসারী পরিণামটা সব ক্ষেত্রে ভালো নয়। এই ভারতমাতা-তত্ত্ব এক বহুপ্রচলিত সঙ্কীর্ণ জাতীয়তাবাদের জন্ম দিয়েছে, যা এখনও বহু তথাকথিত দেশভক্তের শিরায় শিরায় বহমান।
অথচ, এটাই কিন্তু এ দেশের শক্তিতত্ত্ব কিংবা মাতৃকা-উপাসনার একমাত্র ধারা ছিল না। হ্যাঁ, আমাদের দেবী দেবকুলরক্ষয়িত্রী, তিনি অসুরদলনী- ঠিক! সেইসঙ্গে, দেবীভাগবতের চতুর্থ স্কন্ধের পঞ্চদশ অধ্যায়ে, তাঁকে দেবাসুরের বিবাদ ও যুদ্ধ মিটমাট করতেও দেখা গেছে, দেবী এসেছেন শান্তিদূতের ভূমিকায়। সেই অধ্যায়ের নাম "সুরাসুরসংগ্রামশান্তি"! সেখানে, প্রহ্লাদ তাঁর স্তব করে বলেছেন,
যাদৃশাস্তাদৃশা মাতঃ সুতাস্তে দানবাঃ কিল।
যতস্ত্বং বিশ্বজননী পুরাণেষু প্রকীর্তিতা।।
মা, দেবগণ যেমন তোমার পুত্র, দানবেরাও তাই। তোমাকে যে পুরাণে বিশ্বজননী বলা হয়েছে!
প্রহ্লাদের মতে, দেব ও অসুরদের মধ্যে এই ভ্রাতৃবিরোধ, এই যুদ্ধ- সবই সেই বিশ্বজননীর লীলাকৌতুক ছাড়া আর কিছু নয়!
ঠিক এই উক্তির প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছে এক অসামান্যা জননীর মুখে। তাঁকে যখন ব্রিটিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে উত্তেজিত করে দেশভক্ত বিপ্লবীরা অনুরোধ জানিয়েছেন, "মা তুমি একবারটি মুখ দিয়ে বলো, 'ইংরেজ উচ্ছন্নে যাক' "- তখন স্থিরবুদ্ধি জননী বলেছেন, "আমি বলি, সকলেরই কল্যাণ হোক।" দৃপ্তকণ্ঠে মা বলেছেন, "তোমরা ভাইয়ে ভাইয়ে যে যা ইচ্ছে করো, কিন্তু তারাও (বিলেতের লোকেরা) তো আমার ছেলে বটে!"
দেশভক্তির নামে, মাতৃসেবার নামে ভ্রাতৃবিরোধ নয়, দ্বেষ নয়, হিংসা নয়- এই সর্বসম্প্রীতির বাণীই হোক আমাদের আলোকবর্তিকা।
এই বাণীর যিনি বক্তা, তিনি আমাদের অতি পরিচিত মানুষ, ঘরের মানুষ। তাঁর নাম শ্রীসারদা দেবী।
Powered by Froala Editor