অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথেই হোক, বা চাপ কাটাতে ঘরে আলো বন্ধ করে— অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের সহায় হয় সঙ্গীত। কিন্তু সঙ্গীত যে পড়াশোনায় উন্নতিও ঘটায়, সেটার নিদর্শন খুব কম শুনেছি আমরা। লন্ডনের একটি স্কুলে সেই কাজটাই করেছিলেন শিক্ষকরা। যেখানে একটি ভায়োলিন, পড়ুয়াদের পড়াশোনার উন্নতি ঘটিয়েছে।
লন্ডনের ফ্রেডেরিক ব্রেমার স্কুল তাঁদের ছাত্রছাত্রীদের মান বাড়াতেই এই নতুন উদ্যোগ নিয়েছিল। পরিকল্পনা করেই স্কুল কর্তৃপক্ষ ঠিক করেন, এদের উন্নতির জন্য সঙ্গীতকে ব্যবহার করা হোক। সেই মতো, যারা পড়াশোনায় একটু দুর্বল, বা কিছু সমস্যা আছে, তাদের একটা করে বাদ্যযন্ত্র দেওয়া হয়। প্রত্যেককেই একটা করে ভায়োলিন, নয়তো বাঁশি দেওয়া হয় স্কুলের তরফ থেকে। শুধু বাদ্যযন্ত্র দেওয়াই নয়, রীতিমতো ক্লাসিকাল মিউজিকের প্রশিক্ষণ দেওয়াও শুরু হয়। তিন বছর পর সমীক্ষায় দেখা গেছে, ওই পড়ুয়াদের পড়াশোনা অনেক উন্নতি করেছে। শুধু পড়াশোনাই নয়, নিজের ভাবনা, স্বভাব সমস্ত কিছুতেই পরিবর্তন এসেছে তাদের।
মিউজিক থেরাপির কথা আমরা প্রায়শই শুনে থাকি। কিন্তু সেই জিনিসটি কটা জায়গায় হয়, তা আমরা অনেকেই জানি না। অনেক স্কুলেই মিউজিক ক্লাস বন্ধ হয়ে যায় পরিকাঠামোর অভাবে। কিন্তু সঙ্গীত একটা মানুষের জীবনে কতটা জড়িয়ে থাকে, এবং কতটা মানসিকভাবে উপকার করে, সেটা সেভাবে চিন্তাই করি না আমরা। লন্ডনের ফ্রেডেরিক ব্রেমার স্কুল সেই কথাটাই আরও একবার মনে করিয়ে দিল আমাদের।