‘বিলুপ্ত’ লিখলে হয়তো আরও জোরদার হত অভিঘাত। কিন্তু মাত্র কয়েকঘণ্টা আগে যা নিজের চোখে দেখলাম, নিজেরই বাড়িতে, তাকে বিলুপ্ত ঘোষণা করি কীভাবে! আরও কিছু পরিবারও নিশ্চয়ই ধরে রেখেছে! তবে খুব প্রচলিত নয়, বলাই বাহুল্য। অন্য-কারো মুখে নাম শোনা তো দূরের কথা, একটিমাত্র বই ছাড়া আর কোথাওই এর উল্লেখ পাইনি। আজ, শুক্লা ত্রয়োদশী। কাল বাদে পরশু কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। আজ, ‘ঠাকরাইন কিস্তাইন’-এর দিন।
ছোটো থেকেই এই দিনটায় ঠাকরাইন কিস্তাইন হতে দেখেছি। মাথা ঘামাইনি কোনোদিন। মাত্র দুদিন পিছনে ফিরলেই বিজয়া দশমী। পুজোর রেশ তখনো কাটেনি মন থেকে। তুড়ুক্-লাফে লক্ষ্মীপুজো। এর মধ্যে কে আর ভাবে এসব নিয়ে! অথচ নামরহস্য ভাবিয়েছে বছরের পর বছর। দু-তিন মিনিটের আচার; শৈশব-কৈশোরে দেখেছি ঠাকুমাকে পালন করতে, তারপর থেকে মায়ের দায়িত্বে। শব্দ-উচ্চারণে ওপার বাংলার ছাপ স্পষ্ট। ঠাকরুন হয়েছেন ঠাকরাইন। আর কিস্তাইন? কিস্তানি-র আঞ্চলিক রূপ? কিস্তানি মানে কী?
জিজ্ঞেস করেছি বাড়ির সদস্যদের। কেউই মনমতো উত্তর দিতে পারেননি। করতে হয়, হয়ে এসেছে, তাই করা। আর এই কথা শুনলেই রাগ ধরে আমার। প্রতিটা পরিবারেই কোনো-না-কোনো আচার এমন গেড়ে বসে থাকে যে, বাদ দেওয়া যায় না সহজে। কিন্তু একটু চেপে ধরলেই, শুষ্ক আচারক্রিয়ার বাইরে আর কিছুই জানা যায় না প্রায়। আজ জেদ চেপে গেল, ঠাকরাইন কিস্তাইনের আচারবিধি ডকুমেন্টেড করবই। সেইসঙ্গে, সুলুকসন্ধান। কদ্দূর যাওয়া যায় দেখি!
কী কী করণীয় এই আচারে, দেখে-দেখে সহজেই জানা গেল। কিন্তু প্রেক্ষাপট? তোলপাড় করে ফেললাম সম্ভাব্য সব বই। পঞ্জিকা থেকে শুরু করে পুরোহিত দর্পণ, ক্রিয়াকাণ্ড বারিধি, একাধিক ব্রতের বই, লোকসংস্কৃতির বই এমনকি কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ইতিহাস ও সংস্কৃতির দুটো বইও। শেষোক্ত বইদুটো খোঁজার কারণ, আমাদের পরিবার ওপার বাংলায় ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা ছিল(এখন অবশ্য কিশোরগঞ্জ পৃথক জেলা)। এবং, খুব সম্ভবত ময়মনসিংহেরই স্থানীয় আচার এই ঠাকরাইন কিস্তাইন। কিন্তু সে গুড়ে বালি। কোত্থাও কোনো হদিশ নেই।
আরও পড়ুন
বিপ্লবীর স্মৃতিজড়িত দুর্গাপুজো, আড়বালিয়া ও একশো বছরের কিস্সা
এদিকে, কিস্তাইন বা কিস্তানির অর্থ জানতে না-পারলে ভেতরে ঢোকা অসম্ভব। বাংলাভাষার অন্তত ১০টি অভিধান(যার মধ্যে পাঁচটি শুধুমাত্র আঞ্চলিক শব্দ নিয়েই) ঘেঁটেও এ-জাতীয় কোনো শব্দ পেলাম না। কাছাকাছি শব্দ একমাত্র কিস্তি, যার মূল অর্থ ‘ঋণের পরিশোধযোগ্য টাকা’, ‘ঋণ শোধের সময়’ ও ‘দাবাখেলার বিশেষ চাল’। অপ্রচলিত অর্থে পাচ্ছি ‘বড়ো নৌকা’ ও ‘একরূপ দীর্ঘাকার নারকেলের মালা’। এখান থেকে ভাবতে শুরু করলে, দুইয়ে-দুইয়ে চার করা যায় বড়ো নৌকার প্রসঙ্গ। ঠাকরাইন যে লক্ষ্মীঠাকরুন, তা জেনেছি আগেই। লক্ষ্মীপুজোর দুদিন আগে তাঁকে বরণ করে নিয়ে আসা হচ্ছে ঘরে। নৌকোই কি নিয়ে আসার মাধ্যম? তৎকালীন পূর্ববঙ্গ জলসঙ্কুল এলাকা, তার জন্যেই কি তাঁকে নৌকোর মাধ্যমে ঘরে আনার আচার ‘ঠাকরাইন কিস্তাইন’ নাম নিল?
আরও পড়ুন
কাম, ক্রোধ না লীলা-মাহাত্ম্য— দুর্গা-মহিষ সংঘাতের প্রকৃত কারণ কী?
কিস্তাইনকে কিস্তির মধ্যে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করতে যখন উঠেপড়ে লেগেছি, তখনই কী-জানি মনে হতে উঁকি দিলাম বরুণকুমার চক্রবর্তী সম্পাদিত ‘বঙ্গীয় লোকসংস্কৃতি কোষ’-এ। পেয়েছি, এবার পেয়েছি! তবে মাত্র সাত-আট লাইন। ‘ঠাকুর কিচ্ছানো’ নামে নথিভুক্ত। সে-বইয়ে লেখা—
আরও পড়ুন
বাংলার দুর্গাপুজোকে 'হেরিটেজ' তকমা ইউনেস্কো-র
‘লক্ষ্মীপুজোর আগের দিন ঠাকুর কিচ্ছানো হয়ে থাকে। উঠোনের মাঝে একটি হলদি গাছ, একটি আদা গাছ ও একটি মানকচু গাছ পুঁতে পুজো করা হয়ে থাকে। লক্ষ্মীর গাছকৌটো রাখা হয় একপাত্র ধানের উপর। সাথে থাকে রন্ধন ক্রিয়ার সমস্ত মশলা যেমন—হলুদ, লঙ্কা, জিরে ইত্যাদির গুঁড়ো, তেল, লবণ, সরষে দেওয়া হয়। পরের দিন ধান, পাথর ও লক্ষ্মীর ঘট সহ পাত্রটি দিয়ে লক্ষ্মীপুজো করা হয়। এই পূজার আঞ্চলিক নাম ঠাকুর কিচ্ছানো।’
শব্দটা তবে কিস্তানি নয়, কিচ্ছানো? ময়মনসিংহী ডায়লেক্টে, কিচ্ছাইন হয়ে গেছে কিস্তাইন? দিশা পেতে, আবার ঝাঁপ দিলাম অভিধানে। রংপুর এলাকায় প্রচলিত ‘কিচ্চানো’ শব্দটি, যার অর্থ নিড়ানো। হতে পারে, ঠাকরুন এখানে ফসল বা শস্যের রূপক। ফসলরূপী ঠাকরুনকে নিড়িয়ে ঘরে তোলা হচ্ছে মূল পুজোর আগে, তাই ‘কিচ্ছানো’। উপকরণে ধান-দূর্বা-চাল ইত্যাদি প্রতীক তো রয়েইছে! অথবা, হয়তো কিচ্ছা বা কেচ্ছা থেকে এসেছে ‘কিচ্ছানো’। কেচ্ছার এক অর্থ কাহিনি, আরেক অর্থ কুৎসা। বেকার লক্ষ্মীর কুৎসা করতে যাবেই-বা কেন! তাহলে কি লক্ষ্মী-আগমনের নেপথ্যকাহিনি? কিন্তু কই, কোনো মন্ত্র বা পাঁচালি নেই তো এর!
আরও এগোনোর আগে, ‘ঠাকরাইন কিস্তাইন’-এর গল্প ও আচারবিধি বলে নেওয়া যাক। বাড়িতে বরাবরই দেখেছি শুক্লা ত্রয়োদশীতে হতে, যদিও পূর্বেল্লিখিত বইটি লেখা চতুর্দশীর কথা। সে-যাইহোক। বলা হয়, লক্ষ্মীঠাকুর বাড়ির বাইরে, উঠোনে মানকচু গাছের গোড়ায় বসে থাকেন, তাঁর অভিমান ভাঙিয়ে আপ্যায়ন করে ঘরে নিয়ে আসাই এই আচারের মূল কাজ। বরুণবাবুর বইয়ে একপ্রকার পদ্ধতি লেখা আছে। এবার আমি কী দেখলাম আজ, তা বলি।
প্রথমে ঘরের মধ্যেই সাজানো। কাঠের একটা পিঁড়ির ঠিক মধ্যিখানে পাঁচটা সিঁদুরফোঁটা দিয়ে, ধানদূর্বা রেখে, তার ওপর স্থাপন করা হয় জলপূর্ণ ঘট। ঘটের গায়েও সিঁদুরফোঁটা, জলের ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছে আম্রপল্লব। ডানদিকে একটা গোটা নারকেল(খোলস না-ছাড়িয়ে), বাঁদিকে একটা ছোট্ট পাত্রে চাল, তার ওপর কড়ি। সেই পাত্রের বাঁ-পাশে প্রথমে একটা কচুপাতা, তার ওপর গোবর ও তারও ওপরে একটা পাথর চাপা দেওয়া হয়। ঘটের ঠিক পিছনদিকে স্থাপন করা হয় লাল কাপড়-জড়ানো গাছকৌটো। এতক্ষণের পুরোটাই কিন্তু ওই পিঁড়ির ওপরেই। তারপর, সেই পিঁড়ি নিয়ে যাওয়া হয় উঠোনে।
উঠোনে তখন পোঁতা আছে (অবস্থাবিশেষে টবে) মানকচুগাছ আর হলুদগাছ(আমাদের বাড়িতে আদাগাছের প্রচলন নেই)। সূর্যাস্তের পর, তার সামনে নামিয়ে রাখা হয় পিঁড়ি। তাতে ঘট, লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবে গাছকৌটো ও অন্যান্য উপকরণ। এবার পুজো। অথচ এ-পুজোর কোনো মন্ত্র নেই। ধূপ ও প্রদীপ দেখানো, সঙ্গে উলু ও শঙ্খধ্বনি। তারপর, পিঁড়ি হাতে তুলে কচুগাছকে কেন্দ্র করে আড়াই পাক দেওয়া। তারপরই, সোজা পিঁড়ি নিয়ে ঘরে চলে আসা। দুদিনের জন্য এবার যাবতীয় উপকরণ-সহ ঘরেই থাকবেন লক্ষ্মী। কচুগাছ এনে বসানো হবে পিঁড়ির ঠিক পিছনে। ভাব যেন— দ্যাখো মা, তোমাকে বাইরে থেকে বরণ করে ঘরে আনলাম ঠিকই, কিন্তু অচেনা পরিবেশে কিন্তু ফেলিনি! কচুগাছটিকেও নিয়ে এসেছি সঙ্গে। নাও, শান্তিতে থাকো এবার!
মোদ্দায় এই হল ঠাকরাইন কিস্তাইন। দুদিন পর, লক্ষ্মীপুজোর সময় গাছকৌটো গিয়ে বসবে লক্ষ্মীমূর্তির পাশে। বাদবাকি অন্যান্য উপকরণের কাজ নেই আর।
এসবের মধ্যেই ফোন করেছিলাম উমাদাকে। কবি উমাপদ কর। আমাদের মতোই কিশোরগঞ্জের মানুষ তিনি। ফোন করেই সটান প্রশ্ন— ‘ঠাকরাইন কিস্তাইন সম্পর্কে জানেন?’ উত্তর এল— ‘নামটা তো চেনা লাগে! দাঁড়াও, দিদিকে জিজ্ঞেস করে দেখি!’ খানিক পরে ফিরতি-ফোনে জানালেন, হ্যাঁ, ঠাকরাইন কিস্তাইন তাঁর পরিবারেও প্রচলিত ছিল একসময়। তবে ত্রয়োদশীতে না, লক্ষ্মীপুজোর আগেরদিন হত। আর লাগত তিনটে গাছই— হ্যাঁ, আদাও। ‘ঠিক শুনেছেন তো উমাদা, কিস্তাইন তো, কিচ্ছাইন নয় তো?’ –‘না ভাই, কিস্তাইন-ই। এমনটাই বলা হত বাড়িতে।’
যাক, ‘কিস্তাইন’ একা আমাদের পরিবারেরই নয়, অন্তত একটা নির্দিষ্ট অঞ্চলে ওটাই বলা হত। অন্য-কোনো অঞ্চলে আবার কিচ্ছানো। কিন্তু এর অর্থ কী? পুঙ্খানুপুঙ্খ কোনো মানে বের করা যাচ্ছে না কিছুতেই। বৃহদার্থে হতে পারে— ‘ঠাকরুনকে আপ্যায়ন বা বরণ করে ঘরে নিয়ে আসা’, যা এই আচারেরই প্রতিফলন।
বরুণবাবুর সম্পাদিত বইয়ের একটা লাইন চোখ টেনেছিল আগেই— ‘যদিও অনেক অঞ্চলে এই পুজোর নাম অলক্ষ্মী বিদায় ও লক্ষ্মীর আগমন বলা হয়।’ এ-কথার সঙ্গে আমি একমত হতে পারছি না কিছুতেই। সমগ্র আচারটিতে কাউকে বিদায় দেওয়ার কোনো চিহ্নই নেই। বরং আগমন বলা যেতে পারে। অলক্ষ্মী পূজা মূলত কালীপূজার আগে হয়, যদিও কোথাও কোথাও লক্ষ্মীপূজার দিনই অলক্ষ্মীপূজার প্রচলন আছে। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বিখ্যাত ‘বাংলার ব্রত’ বইয়ে লিখেছেন—
“গৃহস্থের বড়োঘরের মধ্যে লক্ষ্মীপূজার পূর্বে, ঘরের বাহিরে একটি পূজা চলে ; তাকে বলা হয় ‘অলক্ষ্মী বিদায়’। এটি শাস্ত্রোক্ত দীপান্বিতা। লক্ষ্মীপূজার একটি অনুষ্ঠান, যথা; প্রদোষসময়ে বহির্দ্বারে গোময়নিমিত অলক্ষ্মীকে বামহস্ত দ্বারা পূজা করিবে। আচমনান্তে সামান্যার্ঘ্য ও আসন শুদ্ধি করিয়া অলক্ষ্মীর ধ্যান যথা— ওঁ অলক্ষ্মীং কৃষ্ণবৰ্ণাং কৃষ্ণবস্ত্রপরিধানাং কৃষ্ণগন্ধানুলেপনাং তৈল্যাভ্যাক্তশরীরাং মুক্তকেশীং দ্বিভুজাং বামহস্তে গৃহীত ভস্মনীং দক্ষিণহস্তে সন্মার্জনীং গর্দভারূঢ়াং লৌহাভরণভূষিতাং বিকৃতদ্ৰংষ্ট্ৰাং কলহপ্ৰিয়াম— এই বলিয়া ধ্যান করিয়া আবাহনপূর্বক অলক্ষ্মীর পূজা; পূজান্তে পাঠ্য মন্ত্র যথা— ওঁ অলক্ষ্মী ত্বং কুরূপাসি কুৎসিতস্থানবাসিনী সুখরাত্ৰৌ ময় দত্তাং গৃহ্ন পূজ্যঞ্চ শাশ্বতীম্। পরে গৃহমধ্যে গিয়া লক্ষ্মীপূজা যথাবিধি আরম্ভ— গৌরবর্ণাং স্বরূপাঞ্চ সর্বালংকারভূষিতাম ইত্যাদি।”
অবন ঠাকুরের এই গদ্যাংশে উল্লিখিত অলক্ষ্মীর ধ্যানমন্ত্র থেকেই স্পষ্ট, কী বিকটদর্শনা তিনি! গৃহস্থ বাঙালি নারীর কাছে ‘ভিলেন’, লক্ষ্মীর শত্তুর। তাড়াতে পারলে নিশ্চিন্তি। যদিও অধিকাংশ নারীই এত সংস্কৃত মন্ত্রের ধার ধারতেন না, পুজো-টুজো সেরে, গোবর-নির্মিত অলক্ষ্মীর মূর্তিকে কুলো দিতে পিটতে পিটতে রাস্তায় গিয়ে গিয়ে বলতেন— ‘অলক্ষ্মী বাইরে যা, লক্ষ্মী ঘরে আয়।’
অলক্ষ্মীকে নিয়ে আলোচনা এ-নিবন্ধের উপজীব্য নয়। আমার বক্তব্য হল এই, অলক্ষ্মীকে কেন্দ্র করে এতসব আক্রোশের চিহ্নমাত্র নেই ‘ঠাকরাইন কিস্তাইন’-এ। ভারি শান্ত গিন্নিপানা এ-আচার। বাইরে গাছের নিচে বসে-থাকা দুঃখী লক্ষ্মীঠাকরুনকে আদর করে ঘরে নিয়ে আসা। এটুকুই। এতটুকু বেশি না, কমও না। এতদিন বাদে এলেন, দুদিন জিরান, ফল-বাতাসা খান। আসল পুজো তো চলে যাচ্ছে না কোথাও!
ভাইফোঁটা ও বাংলার অন্যান্য ব্রত নিয়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি, অঞ্চলভেদে, এমনকি পরিবারভেদেও বদলে যেতে পারে একেকটা আচার। কোনো বিধিনির্দিষ্ট নিয়ম ঘাড়ে চেপে নেই বলে, লক্ষ্মীও নিজের ইচ্ছেমতো আসতে পারেন যে-কোনো রূপে। কোথাও নবপত্রিকাকে অপরাজিতা-লতা দিয়ে বেঁধে লক্ষ্মীর কল্পনা করা হয়। কোথাও-বা কলার খোলা দিয়ে বানানো হয় নৌকো। কখনো লক্ষ্মীসরা, কখনো পট। ঘট, গাছকৌটো, মূর্তি— এসব বৈচিত্র্যও তো কম না! আর এতকিছু আছে বলেই বছর-বছর লক্ষ্মী আসেন, উঁকি দিয়ে যান গৃহস্থের অন্দরে।
আর আছে ‘ঠাকরাইন কিস্তাইন’, আমাদের পরিবারে। হয়তো অন্যত্রও। আজ অবধি মন্ত্রহীন। আমি যদি বিড়বিড় করে বলি— ‘ঠাকরাইন, রইয়া যাও, বারংবার মুখ ফিরানির ঠেকা কিডা’, তাহলে কি পাপ হবে কোনো?
ছবিঋণ – লেখক
Powered by Froala Editor