একবিংশ শতাব্দীর আয়ু থেকে চলে গেল আরও একটা দশক। অথচ প্লাস্টিকের ক্রমবর্ধমান ব্যবহারে পরিবেশ দূষণ ক্রমশই বেড়ে চলেছে। স্থল থেকে জল - প্লাস্টিকের প্রাচুর্যতায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সামগ্রিক বাস্তুতন্ত্র। বিশ্বজুড়ে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে নানা সচেতনতামূলক উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তবু, যথাযোগ্য প্রতিকার মিলছে না কিছুতেই। সম্প্রতি কোচিতে দেখা গেল এক অভিনব প্লাস্টিক বিরোধী উদ্যোগ।
বিজ্ঞান চলচ্চিত্র নির্মাতা কে কে আজিজকুমার এবং সঙ্গীতশিল্পী বিজু টমাস ফোর্ড কোচির সমুদ্রতীরে প্লাস্টিকের বোতল দিয়ে ২৫ ফুট উঁচু একটি ভাস্কর্য গড়ে তুলেছেন। ব্যবহৃত হয়েছে ১২০০টি ১ লিটারের বাতিল বোতল। এই ভাস্কর্যটিতে একেবারে ৬ জন মানুষ ঢুকতে পারেন। ভেতরে ঢুকলে ধাঁধা লেগে যেতেই পারে। কেননা, ভাস্কর্যের ভেতরে বসানো হয়েছে আয়না। এ যেন এক গোলকধাঁধা। একবার ঢুকে পড়লে সহজে বেরানো যাবে না এর ভেতর থেকে। ঠিক যেমন প্লাস্টিকের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারে পরিবেশকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে মানুষের বহু বছর লেগে যাবে। পৃথিবীর এই দমবন্ধকর পরিস্থিতি বোঝাতেই এই ভাস্কর্যকে এমন চেহারা দেওয়া হয়েছে ভেতরে ও বাইরে।
এ-স্থাপত্য যেন প্লাস্টিক-দূষণে জর্জরিত পৃথিবীর বর্তমান অবস্থারই প্রতিফলন। ভাস্কর্যের ভেতরে সেলফি তোলার প্রতিযোগিতায় মেতেছিলেন অনেকেই। ছবি তুলে প্লাস্টিক বিরোধী ক্যাপশন লিখলে মিলতে পারে পুরস্কার, এমনটাই জানানো হয় উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে।
শিল্পের মাধ্যমে পরিবেশকে স্বাভাবিক করার লক্ষ্যে কয়েকধাপ এগিয়ে থাকবে কোচির এই ভাস্কর্য। কিন্তু এরপরেও কি মানুষ সতর্ক হবে? কমাবে প্লাস্টিকের ব্যবহার? সেসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে চলতি দশকেই।