করোনা ভাইরাসের দাপট এখনও সারা পৃথিবী জুড়ে। গত ডিসেম্বরে চিনেই উৎপত্তি এই ভাইরাসের। যদিও এতদিনে করোনার দাপট অনেকটাই সামলে উঠেছে দেশটি। কিন্তু এর মধ্যেই আরও এক মহামারীতে বিপর্যস্ত চিন। ল্যাঞ্জহাউ প্রদেশে ইতিমধ্যে ৬ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ব্রুসেলোসিস রোগে। আর এই ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগই নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে চিনকে।
ল্যাঞ্জহাউ অঞ্চলে ব্রুসেলোসিসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ে ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে। স্থানীয় একটি চিকিৎসা সরঞ্জাম উৎপাদন সংস্থার কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটে। আর তার ফলেই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে জীবন্ত ব্রুসেলা ব্যাকটেরিয়া। প্রথমে অবশ্য ঘটনাটা তেমন গ্রাহ্য করেনি প্রশাসন। আর এর ফলেই রোগ ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। করোনা পরিস্থিতিতে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে এই মহামারী। এর উপসর্গও অনেকটা কোভিডের মতোই। তাই প্রথমে করোনা ভেবেই চিকিৎসকদের কাছে আসেন অনেক রোগী। আর সেপ্টেম্বর মাসেই সমীক্ষা চালিয়ে দেখা যায় ৩ হাজারের বেশি মানুষ ব্রুসেলোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রথমদিকে মনে করা হয়েছিল, রোগ ছড়াচ্ছে খুব ধীর গতিতেই। কিন্তু সম্প্রতি সম্প্রতি আবারও ৫৫ হাজার মানুষের রক্ত পরীক্ষা করে দেখা যায় ৬ হাজার জনের শরীরেই আছে ব্রুসেলা ভাইরাস। অর্থাৎ এই আড়াই মাসে নতুন করে সংক্রমণ ঘটেছে ৩ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে। তাঁদের অনেকের শরীরে বেশ কিছু উপসর্গ চিকিৎসার পরেও কোনোদিন সারবে না, এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। ফলে সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক। সংশ্লিষ্ট সংস্থাটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এতজন মানুষের জীবন সঙ্কটের প্রকৃত শাস্তি কী হতে পারে? এই ধরনের পরীক্ষার ক্ষেত্রে কি আরেকটু সচেতন হওয়া যায় না?
Powered by Froala Editor