হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে একের পর এক রোগী। কী করে সুস্থ করা যাবে, সেটাই আলোচনা করছেন ডাক্তাররা। আমেরিকায় এমনই ভয়াবহ পরিস্থিতি। করোনার জন্য এমনিই সেখানের অবস্থা সংকটজনক। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে তারই মধ্যে ডাক্তারদের কপালে ভাঁজ ফেলেছে আরও একটি ঘটনা। কারণ করোনার সঙ্গে সেখানে হানা দিয়েছে আরও একটি অজানা রোগ; যার গানপয়েন্টের সামনে শিশুরা।
সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের স্বাস্থ্যকর্তারা এই নিয়ে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে। এই ঘটনায় শঙ্কা যে আরও বাড়ল, তা বলাই যায়। কিন্তু ঠিক কী হয়েছে? ডাক্তাররা বলছেন, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে করোনার জন্য সবাই লড়াই করছে। তারই মধ্যে দুই থেকে ১৫ বছর বয়সের বাচ্চারাও হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তাদের সবার যে করোনা হয়েছে তা নয়। বরং দেখা দিয়েছে অন্য রোগ। প্রচণ্ড তলপেট ব্যথা, বমি, জ্বর সেইসঙ্গে অন্যান্য আরও উপসর্গ। এর সঙ্গে ডাক্তাররা আরও একটি রোগের মিল পাচ্ছেন— কাওয়াসাকি রোগ। প্রধানত এশিয়ায় সীমাবদ্ধ এই রোগেও এইরকম উপসর্গ দেখা যায় বটে, কিন্তু সেটাই একমাত্র নয়। আরও নানা লক্ষণ থাকে, যেগুলো এদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে না। এখনও অবধি শুধু নিউ ইয়র্কেই ৬৪ জনের এমন জিনিস দেখা গেছে।
তবে নিউ ইয়র্কের বাইরে ইংল্যান্ডেও এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। চিকিৎসকরা এখনও বুঝতে পারছেন না এর কারণ। প্রসঙ্গত, কাওয়াসাকি রোগ ঠিক কী কারণে হয়, সেটাও সামনে আসেনি এখনও। গবেষণার পর্যায় রয়েছে সমস্তটা। তার মধ্যে এমন উপদ্রব চিন্তায় ফেলেছে চিকিৎসকদের। যদি কাওয়াসাকি না হয়, তাহলে কি করোনাই ভোল বদলে শিশুদের শরীরে বাসা বাঁধছে? তার রোগলক্ষণ বদলে যাচ্ছে? সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা। চিকিৎসকরা নিজেদের কাজ জারি রেখেছেন। ওই শিশুদেরও চিকিৎসা চলছে। পাশাপাশি চলছে গবেষণাও। দিনের শেষে একটা সুরাহা যে বের করতেই হবে…