বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মেরু অঞ্চল। সেখানে দূষণ নেই, কিন্তু মানুষের সৃষ্টি দূষণের প্রভাবে বিপন্ন হচ্ছে সেখানকার ভূপ্রকৃতি। ভেঙে পড়ছে হিমবাহ। মেরু অঞ্চলের সব বরফ গলে গেলে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যাবে প্রায় চার ফুট। ফলে স্থলভাগের অনেকটাই জলের নিচে চলে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে সেইদিন হয়তো আর খুব বেশি দূরে নেই।
সম্প্রতি ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির স্যান্টিনেল স্যাটেলাইটে ধরা পড়ল এক ভয়াবহ ছবি। মঙ্গলবার স্যাটেলাইট প্রেরিত এই ছবিতে দেখা যায়, অ্যান্টার্কটিকার পশ্চিমে পাইন দ্বীপপুঞ্জে ভেঙে পড়েছে একটি বিরাট হিমবাহ। প্রায় বছরখানেক ধরেই ওই অঞ্চলে একাধিক ফাটল নজরে আসছিল। তারপর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পডড়ে এই হিমবাহ। আয়তনে সেটা ১২০ বর্গমাইল। অর্থাৎ তার নিচে প্রায় দেড়খানা কলকাতা শহর ঢুকে যেতে পারে অনায়াসে। বি-৪৯ নামের এই বিরাট হিমবাহ ভেঙে পড়ায় আশেপাশের ছোট হিমবাহগুলোতেও ফাটল দেখা দিয়েছে। ফলে আশঙ্কার যথেষ্ট কারণ আছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কয়েকদিন আগেই জানা গিয়েছিল, অ্যান্টার্কটিকার উষ্ণতা ৫০ বছরের রেকর্ড ছাড়িয়েছে। ফলে দুর্ঘটনা তো ঘটারই ছিল। এই শতকে অ্যান্টার্কটিকায় হিমবাহ ভেঙে পড়ার ঘটনা ঘটল এই নিয়ে আটবার। এবং এরকম ঘটনা ইদানীংকালে প্রায়ই ঘটতে দেখা যাচ্ছে। যতটুকু জানা গেছে, তাতে এই হিমবাহে প্রায় ৫৮ বিলিয়ন টন বরফ জমে ছিল। এই বিপুল পরিমাণ বরফ সমুদ্রে মেশায় সেখানকার বাস্তুতন্ত্রের উপর কী প্রভাব পড়ে, সেই দিকেই তাকিয়ে আছেন গবেষকরা।