আঁকার জন্য শাস্তি স্কুলে, সেদিনের ছোট্ট শিশুই আজ বিখ্যাত শিল্পী

স্কুল কলেজের দিনে আমরা অনেকেই বেঞ্চে, টেবিলে ছবি এঁকে রাখতাম। কখনও সেসবের গণ্ডি ছাড়িয়ে ছবি পৌঁছে যেত ব্ল্যাকবোর্ডে। জো হোয়েলও তাই করত। বরং তার আঁকার প্যাশন বাকিদের থেকে একটু বেশিই ছিল। কিন্তু বাধা আসত খোদ শিক্ষকদের কাছ থেকেই। আর আজ? মাত্র নয় বছর বয়সেই সে একজন পুরোদস্তুর ‘ডুডল আর্টিস্ট’। একদিন যেটা তার অপরাধ ছিল, এই ছোট্ট বয়সে সেটাই তাকে পরিচিতি দিয়েছে। এমনকি, নতুন কাজও দিয়েছে।     

শিক্ষকদের পড়ানোর ফাঁকে খাতার পিছনে, বা অন্য জায়গাতেই ডুডল আঁকত জো। আর পড়ানো হয়ে গেলে, ফাঁকা হোয়াইট বোর্ডটাই ভরে যেত অপূর্ব সব ডুডলে। মন দিয়ে সেইসব আঁকত জো। আর সেটাই শিক্ষকদের পছন্দ হল না। উৎসাহ তো দিতেনই না, বরং সেটা নিয়ে রীতিমত বকাঝকা করতেন ছোট্ট জো-কে। ক্রমশ মন খারাপ হয়ে যাচ্ছিল জো’র। নিজের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছিল।

ভাগ্যক্রমে, সমস্ত ঘটনা নজরে রাখছিলেন জো হোয়েলের মা-বাবা। তাঁরাই নয় বছরের জো-কে নিয়ে যান আঁকার স্কুলে। ফিরে আসে বিশ্বাস। জো মনের সুখে আঁকতে থাকে। ডুডল নিয়ে তার কাজ মুগ্ধ করে তার আঁকার শিক্ষককেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি পোস্টও করতে থাকেন তিনি। আর সেই পোস্টের জেরেই একটি রেস্তোরাঁর পক্ষ থেকে অফার আসে জো-এর কাছে। রেস্তোরাঁর সাদা দেওয়াল জো-এর কাছে হয়ে যায় আস্ত ক্যানভাস। এককালে যে শিক্ষকরা তাকে বারণ করেছিল আঁকতে, তাঁদের বক্তব্য কী এখন? জানা যায়নি। জো কিন্তু এঁকেই চলেছে। নিজের সুখে। বলা ভালো, সৃষ্টির আনন্দে।

Latest News See More