হরিয়ানার ধানক্ষেতে মজুরের কাজ করছেন ৯ বারের জাতীয় উসু চ্যাম্পিয়ন তরুণী

বিশ্বব্যাপী করোনা পরিস্থিতিতে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতোই ক্ষতিগ্রস্ত ক্রীড়া জগতও। আর্থিক অনটনের মধ্যে লড়াই করে যেতে হচ্ছে খেলোয়াড়দের। অবশ্য ফুটবল-ক্রিকেট অথবা তেমন কোনো জনপ্রিয় খেলা হলে অবশ্য বিষয়টা আলাদা। তাঁরা তো সেলিব্রেটি। কিন্তু জনপ্রিয়তার আড়ালে চাপা পড়ে গিয়েছে যেসব খেলা, সেইসব খেলার সঙ্গে যুক্ত মানুষদের জীবনটা কীভাবে চলছে তার জ্বলন্ত উদাহরণ শিক্ষা।

হরিয়ানার ইন্দ্রগড় গ্রামের ২২ বছরের শিক্ষা উসু নামে একটি অ্যাথলিট ধরনের খেলার সঙ্গে যুক্ত। এই খেলায় ৯ বারের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন তিনি। ২৪টি পদক জয় করেছেন ইতিমধ্যে। কিন্তু তার বদলে স্বীকৃতি তেমন কিছুই জোটেনি। এটা তো ফুটবল বা ক্রিকেট নয়। কিন্তু এই লকডাউনে যেমন আর্থিক অনটনের মধ্যে তার দিন কাটছে, এমনটা আগে কোনোদিন ঘটেনি।

লকডাউনের ফলে এখন প্র্যাকটিস বন্ধ। বন্ধ সমস্ত প্রতিযোগিতাও। কিন্তু তার থেকেও বড়ো কথা, বন্ধ শিক্ষার সমস্ত উপার্জন। আর তাই বাধ্য হয়ে শেষ পর্যন্ত চাষের জমিতে ক্ষেতমজুরের কাজ বেছে নেন শিক্ষা। তিনি জানিয়েছে,ন বাড়িতে সমস্ত সঞ্চয় শেষ হয়ে যাওয়ার ফলেই এই পেশা বেছে নিয়েছেন।

তিন বছর ধরে বারবার ক্রীড়া বিভাগের অফিসে ঘুরেও কোনো লাভ হয়নি। বাকি থেকে গিয়েছে তাঁর স্কলারশিপের সমস্ত টাকা। আর এর মধ্যেই এসে গেল লকডাউন। এমনকি এই পরিস্থিতিতেও সরকারের পক্ষ থেকে মেলেনি কোনো সাহায্যই। ক্ষেতের কাজ করতে করতে হয়তো ভেঙে পড়বে তাঁর শরীরের ফিটনেস। কিন্তু এছাড়া তো আর উপায়ও নেই। তবে ফুটবল-ক্রিকেটের তারকাদের নিয়েই যাঁদের খেলার জগৎ সম্পূর্ণ হয়ে যায়, তাঁরা কি আদৌ খোঁজ রাখবেন এইসব 'ব্রাত্য' ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের?

আরও পড়ুন
দারিদ্র্য আর অনাহারে জর্জরিত ভেনেজুয়েলা, চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
মহামারীর মধ্যে ঘিরে ধরেছে দারিদ্র্য, ফল বিক্রি করছেন বলিউডের অভিনেতা