ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডে ৯ জনের প্রাণ গেল রাজধানী দিল্লিতে। দিল্লির কিরারি অঞ্চলের এই তিনতলা বাড়িটির এক অংশ বসবাস ও এক অংশ বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হত। গতকালের এই ঘটনায় প্রাণ হারানো মোট ন’জনের মধ্যে একজন মহিলা ও তিনজন শিশু রয়েছে বলে জানা গেছে দমকলের পক্ষ থেকে।
কদিন আগেই দিল্লির একটি চারতলা বাড়িতে আরেক অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ হারিয়েছেন ৪৩ জন শ্রমিক। ব্যাগ তৈরির একটি অবৈধ কারখানায় লেগেছিল সেই আগুন। মৃতের ৪৩ জনের অধিকাংশই ছিলেন সেই কারখানার শ্রমিক। আনাজ মন্ডির এই ঘটনা ঘটেছিল এই মাসেরই ৮ তারিখে।
কালকের ঘটনা সম্পর্কে দিল্লি ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, রাত সাড়ে বারোটায় একটি ফোনকল পান তাঁরা। ছুটে যায় দমকলের আটটি গাড়ি। বাড়িটির একতলায় একটি কাপড়ের গুদাম ছিল। যদিও উপরের তলাগুলিতে মানুষের বসবাস ছিল। ভোর চারটে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে বলে জানিয়েছেন দমকলকর্মীরা।
অগ্নিনির্বাপক কোনও যন্ত্রই ওই বাড়িতে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তিনতলায় একটি গ্যাস সিলিন্ডার বাস্ট করা থেকে বাড়িটি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তও হয়। যদিও আগুনের মূল উৎসের সন্ধান চলছে এখনও। বাড়িটির মালিক অমরনাথ ঝা-এর স্ত্রী এবং দুই কন্যাকে মৃত শনাক্ত করা গিয়েছে। যদিও অমরনাথবাবু দুর্ঘটনার সময়ে হরিদ্বারে ছিলেন।
একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উঠে আসছে জরুরি এক প্রশ্নও। দিল্লি হোক বা কলকাতা, মানুষের সচেতনতার অভাবই যে এর জন্য অনেকাংশে দায়ী, তাতে সন্দেহ নেই। একের পর এক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন মানুষ, অথচ ন্যূনতম প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা নেই অধিকাংশ জায়গায়। বারবার বলা সত্ত্বেও কেন এই গাফিলতি? প্রশাসনের ব্যর্থতা, নাকি মানুষেরই গা-ছাড়া মনোভাব দায়ী? কারণ যাই-ই হোক, মৃত্যুকে এড়ানো যাচ্ছে না কিছুতেই…