৮০ শতাংশ কর্মরত ভারতীয়ই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, জানাল গবেষণা

ভাইরাসের সংক্রমণে শোচনীয় পরিস্থিতি দেশের সর্বস্তরেই। সেই সঙ্গে লকডাউনে অর্থনীতি যে তলানিতে এসে ঠেকেছিল তা আগেই জানান দিয়েছিল পরিস্থিতি। অবস্থা আয়ত্তে আনতে লকডাউন শিথিল করে সচল করার চেষ্টাও করেছে সরকার। কিন্তু তাতেও খুব একটা দৃঢ় হয়ে উঠতে পারেনি অর্থনৈতিক কাঠামো। এবার সেই প্রমাণই দিল একটি পরিসংখ্যান।

ইতালির একটি বিখ্যাত বিমা কোম্পানি জেনারালি-র (Generali) সম্প্রতি প্রকাশ করা তথ্য সংকেত দিচ্ছে, চূড়ান্ত অর্থনৈতিক মন্দার সম্মুখীন ভারত। গোটা বিশ্বের ২২টি দেশে আলাদা আলাদাভাবে একটি গবেষণা চালিয়েছিল ইতালীয় সংস্থাটি। ভারতে ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে যৌথভাবে ব্যবসা রয়েছে জেনারালি-র। বৈশ্বিক বাজার নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা সংস্থা এপিফানির সাহায্য ভারতের তথ্য সংগ্রহ করে ইতালীয় সংস্থাটি।

কর্মরত ভারতীয়দের ৮০ শতাংশই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। কমেছে তাঁদের আয়। যার মধ্যে ৯২ শতাংশ আরো বড়ো অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়তে চলেছেন অদূর ভবিষ্যতে। এছাড়াও এই গবেষণার তথ্য বলছে, সার্বিকভাবে ৯৫ শতাংশ ভারতীয় মানুষই উপার্জনহীনতায় দ্বারস্থ হয়েছেন ত্রাণের জন্য। মোটামুটি ৬০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্তরাই ভাবছেন সঞ্চয় ভাঙানোর কথা। বাকিরা হয় সরকার অথবা আত্মীয়ের কাছেই ভরসা রাখছেন সাহায্যের জন্য।

দেখা যাচ্ছে, ৩৮ শতাংশ মানুষই বিমা কোম্পানিগুলির কাছে আবেদন করেছেন আর্থিক সাহায্য চেয়ে। চরম ব্যবসায়িক ক্ষতির জন্যেও অনেকে অনুরোধ করেছেন ক্ষতিপূরণের। অনেকে ভাঙাতে চাইছেন বিমা-পরিকল্পনাগুলি। 

তবে শুধু আর্থিকভাবে নয় ভাইরাসের হানায় মানসিক, সামাজিক স্বাস্থ্যও দুর্বল হয়েছে দেশের। এমনটাই বলছে এই গবেষণা। প্রতি ১০ জন ভারতীয়দের মধ্যে ৪ জনই চিন্তিত বর্তমান পরিস্থিতির জন্য। তার প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্য এবং মানসিক দিকে। শহরের পরিবারগুলির বেশিরভাগই আতঙ্কে ভুগছেন মহামারীর। পরিস্থিতির সার্বিক একটি চিত্র তুলে ধরলেও গবেষণা জানাতে পারেনি কবে স্বাভাবিক হবে এই পরিস্থিতি। এই সংকটের শেষ কোথায় তা কারোরই জানা নেই। 

Powered by Froala Editor