জন্মানোর পর মানুষের মূলত চারটে দশায় জীবন কাটে। শৈশব-কৈশোর-যৌবন-বার্ধক্য। কিন্তু কারও কারও বয়স যৌবনেই থমকে যায়। বয়সের কাছে হার না মানা এমনই একজন ব্যক্তি হলেন নৃপেন চৌধুরী। ৬৮ বছর বয়সেও তিনি দৌড়ে টেক্কা দিতে পারেন অনেক তরুণ যুবককে।
তিন বছর আগে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে অবসর নেওয়ার পর দৌড়াতে শুরু করেন এই ভদ্রলোক। তখনও তিনি জানতেন না, আগামী বছরগুলোতে তাঁর জন্য কী অপেক্ষা করে আছে। আগামী বছর লন্ডন ম্যারাথনে দৌড়াবেন বর্ষীয়ান এই ব্যক্তি।
তিন বছরের দৌড় জীবনে বিদেশে ৩৫টির বেশি ইভেন্টে অংশগ্রহণ করেছেন। সবকটি ইভেন্টই ছিল দৌড়ের। ১২টি ২১ কিলোমিটারের হাফ ম্যারাথন ও ৪২ কিলোমিটার দুটি ফুল ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। এছাড়া একটা ৫০ কিলোমিটারের আল্ট্রা ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করে একরকমের অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। ইচ্ছের জোর থাকলে খেলাধূলায় বয়স যে কোনো বাধা নয় তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন নৃপেনবাবু।
দৌড়াতে দৌড়াতে সেরে যায় তাঁর হাঁপানি। এখন তিনি মাইলের পর মাইল দৌড়ে যেতে পারেন অনায়াসেই। নৃপেনবাবুর মতো মানুষ পরবর্তী প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণা। দৌড়ের পাশাপাশি নিয়মিত অনুশীলন করে শরীরকে তাজা রাখেন তিনি। বিশ্বের যে ৬টি বড় ম্যারাথন আছে, সবকটিতেই দৌড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন নৃপেনবাবু।
ইচ্ছে ও একনিষ্ঠতার কাছে হার মেনেছে তাঁর বয়স। বজায় থাকুক নৃপেন চৌধুরীর এই লড়াই, সফল হোক তাঁর স্বপ্ন। তাঁর অসম্ভবকে সম্ভব করার এই অদম্য প্রয়াসকে কুর্নিশ।