আর কিছুদিনের মধ্যেই সারা রাজ্য মেতে উঠতে চলেছে দুর্গাপুজোর আনন্দে। সেইসঙ্গে দেশের অন্যান্য রাজ্যেও দশেরা, দীপাবলি ধনতেরাসের আবহাওয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আর এই পালে আরেকটু হাওয়া দিতে ভারতীয় রেল সম্প্রতি নিয়ে এল একঝাঁক বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা। উৎসবের সময়কে মাথায় রেখে অন্তত ২০০টি ট্রেন চালানো হবে বলে আগেই জানিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। আর এবার সমস্ত বিভাগের সঙ্গে কথা বলে স্থির হয়, আপ ও ডাউন মিলিয়ে মোট ৩৯২টি বিশেষ ট্রেন চলবে উৎসবের মরশুমে। ২০ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই পরিষেবা চালু থাকবে। আর এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ভাগ্যে জুটল ৬৬টি ট্রেন।
রেল বিভাগের তরফ থেকে ইতিমধ্যে সমস্ত স্পেশাল ট্রেনের সময়সারণি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। মোটামুটি দেশের প্রতিটা বড়ো শহরকেই উৎসবের সময় যুক্ত করে ফেলা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতেও তাই বেড়াতে যাওয়ার সমস্যা হবে না বললেই চলে। তবে যে কোনো স্পেশাল ট্রেনের মতোই এক্ষেত্রেও ১০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি ভাড়া লাগবে। ২৫ মার্চ থেকে লকডাউনের কারণে বন্ধ ট্রেন চলাচল। মে মাস থেকে কোনো কোনো রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হলেও সব মিলিয়ে সারা দেশে রেল পরিষেবা এখনও স্বাভাবিক নয়। উৎসবের সময়েও কি এভাবেই কাটবে? এমন চিন্তা গ্রাস করেছিল অনেককেই। রেল বিভাগের ঘোষণায় সেই দুশ্চিন্তা কাটল।
তবে দুশ্চিন্তা একেবারে কাটল কিনা, সে প্রশ্নের উত্তর পেতে এখনও দেরি আছে। এর আগেই আমরা দেখেছি ওনাম উৎসবের পর থেকেই তামিলনাড়ুতে দ্রুত হারে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। মুম্বই শহরে যখন সংক্রমণ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছিল, তখনই এসে পড়ল গণপতি উৎসব। আবারও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে লাগল সংক্রমণের গ্রাফ। এমনকি পুজোর আবহাওয়া এসে পড়তেই কলকাতা শহরেও সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। এরকম পরিস্থিতিতে সরকারি সংস্থা হিসাবে মানুষকে নিয়ন্ত্রণে রাখাই রেলের উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ ছিল বলে মনে করছেন অনেকে। এমনকি পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য স্পেশাল ট্রেন চালু করতে যখন বারবার টালবাহানা করেছে কর্তৃপক্ষ, সেখানে এই মুহূর্তের তৎপরতা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। মানুষের সচেতনতাই এখন একমাত্র শক্তি হয়ে উঠতে পারে। সেদিকেই ভরসা রাখছেন সতর্ক বঙ্গবাসী...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
আবারও করোনার থাবা ফুটবল মহলে, আক্রান্ত ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো