লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন ৬৬ লক্ষ ইঞ্জিনিয়ার-চিকিৎসক-শিক্ষক, জানাচ্ছে সমীক্ষা

লকডাউন ভয়ঙ্কর রকমভাবে প্রভাব ফেলেছে অর্থনীতিতে। আর এই পরিস্থিতিতে নিম্নবিত্ত পরিযায়ী শ্রমিক ও অন্যান্য কর্মীদের দুর্ভোগের ছবি ফুটে উঠেছে বার বার। আর উচ্চ পেশাগত দক্ষতার কর্মীরা? আপাত দৃষ্টিতে তাঁদের ওপর অনেকটা কম প্রভাব পড়েছে মনে হলেও সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান ভেঙে দিল সেই ধারণাই।

ইঞ্জিনিয়ার, চিকিৎসক, শিক্ষক, আইটি-সহ প্রায় ৬৬ লক্ষ হোয়াইট কলার চাকরিজীবী মে থেকে আগস্টের মধ্যে কাজ হারিয়েছে বলে জানাল সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’র (সিএমআইই) সমীক্ষা। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং লকডাউন হোয়াইট কলার পেশার কর্মক্ষেত্রের আয়তনকে চার বছর পিছিয়ে দিয়েছে।

সমীক্ষায় জানা যায়, গত বছরের মে-আগস্ট মাসে দেশে কর্মরত হোয়াইট-কলার কর্মীদের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ৮৮ লক্ষ। সেইসময় এই পেশাভিত্তিক কর্মীদের চাহিদাই শীর্ষে পৌঁছেছিল ভারতে। তবে এক বছরের মধ্যেই সেই সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১ কোটি ২২ লক্ষে। এক ধাক্কায় প্রায় এক তৃতীয়াংশ কর্মীদের কাজ হারানো খানিকটা অপ্রত্যাশিত সিএমআইই-র কাছেও। লকডাউন ঘোষণার পরেই এই সংস্থা জানিয়েছিল ভারতে হোয়াইট-কলার ক্ষেত্রে বেকারত্ব বাড়তে পারে ২০ শতাংশ। শেষ অবধি তা-ই গিয়ে ঠেকল ৩১ শতাংশে।

তবে হোয়াইট-কলার কর্মীদের মধ্যে কেরানিদের ওপর সেইভাবে প্রভাব ফেলেনি লকডাউন। যার মধ্যে সেক্রেটারি এবং অফিসের কেরানি থেকে শুরু করে রয়েছেন বিপিও, কেপিও কর্মী এবং ডেটা-এন্ট্রি অপারেটর। ডেস্কওয়ার্কের দায়িত্বে থাকা এই কর্মীরা অনেকেই ওয়ার্ক-ফ্রম হোমের মডেলকে বেছে নিয়েছেন, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

আরও পড়ুন
সামান্য মজুরিতে কাজ করছেন উচ্চশিক্ষিত যুবক-যুবতীরাও, সৌজন্যে করোনা মহামারী

তবে হোয়াইট-কলার ক্ষেত্রের সংকোচন এখানেই শেষ নয়। ২০২০-র দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকের তথ্যে ভিত্তিতেই এই সমীক্ষা। এখনও অব্যহত রয়েছে কর্মীছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া। ২০২০-এর শেষে গিয়ে এই সংখ্যাই ১.২ কোটিরও নিচে নেমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি।

আরও পড়ুন
আনলক পর্বেও অব্যাহত কর্মীছাঁটাই, আগস্টে কাজ হারিয়েছেন ৩৩ লক্ষ

Powered by Froala Editor

আরও পড়ুন
লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন দেশের ১.৮ কোটি স্থায়ী চাকরিজীবী, জানাচ্ছে সমীক্ষা

Latest News See More