সবেমাত্র দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া সে। রোজ স্কুল থেকে ফিরেই কম্পিউটার নিয়ে বসে পড়া চাই। ভাবছেন নিশ্চই, এ আর নতুন কথা কী? বর্তমান প্রজন্মের সব খুদেরাই তো এমন। নিশ্চই কম্পিউটারে বসে বসে গেম খেলবে। কিন্তু বিষয়টা একেবারেই তা নয়। গেম খেলার প্রতি নয়, বরং গেম তৈরির প্রতিই তার আগ্রহ। আমেদাবাদের আরহাম ওম তালসানিয়া মাত্র ৬ বছর বয়সেই হয়ে উঠেছে একজন পুরোদস্তুর প্রোগ্রামার। আর ইতিমধ্যে বিশ্বের কনিষ্ঠতম প্রোগ্রামার হিসাবে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম উঠেছে তার।
বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের মতোই ছোটো থেকেই ওমের আকর্ষণ ছিল নানা ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের দিকে। মাত্র ২ বছর বয়সে তাকে একটি ট্যাবলেট কিনে দেয় তার বাবা। এরপর তার আগ্রহ দেখে পরের বছর একটি আইওএস এবং একটি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমযুক্ত কম্পিউটার কিনে দেয়। সেই সময়েই ওম জানতে পারে, তার বাবা একজন পাইথম প্রোগ্রামার। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ পাইথনের সঙ্গে তার পরিচয় সেই ৩ বছর বয়স থেকেই। তারপর বাবার কাছেই দিনের পর দিন বায়না করে শিখে নেয় প্রোগ্রামিং-এর সাধারণ কিছু কৌশল। বাকিটা শিখেছে নিজে নিজেই।
৬ বছর বয়সের মধ্যেই পাইথন প্রোগ্রামিং-এর উপর একটি কোর্স সম্পূর্ণ করে ফেলেছে ওম। এছাড়া মাইক্রোসফট আয়োজিত একটি পরীক্ষাতেও সফল হয়েছে সে। ঠিক এই সময়েই তার তৈরি কিছু গেমের নমুনা চেয়ে পাঠায় গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। সেইসমস্ত নমুনা পরীক্ষা করে তবেই তার নাম নথিভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগামীদিনে প্রোগ্রামিং নিয়েই এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা আছে ওমের। তবে কোনো সংস্থায় যোগ দিতে চায় না সে। বরং নিজেই একটি সংস্থা খুলতে চায় ওম। তার কথায়, প্রতিযোগিতার ইঁদুর দৌড়ে না গিয়ে পৃথিবীর সমস্ত প্রোগ্রামারদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে চায় সে। এছাড়াও ভারতের মতো দেশে গরিব মানুষদের পাশে দাঁড়ানোও তার কর্তব্য বলে মনে করে ওম। মাত্র ৬ বছর বয়সেই তার এই কৃতিত্ব যেমন অবাক করে, তেমনই অবাক করে তার ব্যতিক্রমী চিন্তাভাবনাও।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
বয়স মাত্র ১২, পরাজয়েও লড়াই থামেনি অলিম্পিকের কনিষ্ঠতম খেলোয়াড়ের