২০১২-র পরে, আবারও শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কার জয়ীদের তালিকায় ১২ জনের মধ্যে পাওয়া গেল ৬ জন বাঙালি বিজ্ঞানীর নাম।
কার্বন ডইঅক্সাইড বা মিথেনের মতো আরও বিভিন্ন গ্রিন হাউস গ্যাসকে ধাতুর মাধ্যমে শুষে নেওয়ার পদ্ধতি আবিষ্কার করে সেরা গবেষণার তকমা পেলেন বেঙ্গালুরুর ‘জওহরলাল নেহরু সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড সায়েন্টিফিক রিসার্চ’-এর বিজ্ঞানী তাপসকুমার মাজি। অতীতের অসম্পূর্ণ সমীকরণ জারিস্কি ক্যানসেলেশন প্রবলেম’-এর সমাধান বাতলে ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের(আইএসআই) রাশিতত্ত্ব ও গণিত বিভাগের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমি এবং রামানুজন পুরস্কার জয়ী নিনা গুপ্তও জায়গা পেয়েছেন ওই তালিকায়। নোবেল জয়ী রিচার্ড ফাইনম্যানের 'ফাইনম্যান ডায়াগ্রাম'-এর উত্তর অসীম বা 'ইনফিনিটি' থেকে বদলে ভিন্ন ধরনের উত্তর এনে পদার্থবিজ্ঞানে সেরার শিরোপা পেলেন বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের বিজ্ঞানী অনিন্দ্য সিংহ। পদার্থবিজ্ঞানের তালিকায় নাম আছে টাটা ইনস্টিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চের পদার্থবিদ শঙ্কর ঘোষেরও। তালিকায় রয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ইমিউনোলজির বিজ্ঞানী সৌমেন বসাক এবং জলবায়ু বদল, বর্ষার আঞ্চলিক ভেদ সংক্রান্ত গবেষণা ক্ষেত্রে বম্বে আইআইটি-র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক সুবিমল ঘোষ।
ক’দিন আগেই বাংলা ভাষা নিয়ে বেশ জলঘোলা হয়েছে খোদ সুপ্রিম কোর্টেও। অসমে এনআরসি-তে আপাতত রাষ্ট্রহীন প্রায় ১৭ লাখ বাঙালি। পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি-আতঙ্কে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। পরোক্ষে হিন্দি ভাষা চাপানোর চেষ্টা করছে রাষ্ট্র। এতকিছুর মধ্যেও, সামনেই পুজো। আর তার আগে এমন খবরে বাঙালি হিসেবে মন ভালো হয়ে যাওয়ার কথা সকলেরই।
কাউন্সিল অফ সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের এই শান্তিস্বরূপ ভাটনগর পুরস্কারের অর্থমূল্য ৫ লাখ টাকা। বাঙালি যে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও অনন্য, তা আরেকবার প্রমাণিত হয়ে গেল পুরস্কারপ্রাপকদের তালিকাতেই।