একশৃঙ্গ গণ্ডারের কথা বললেই এসে পড় অসমের কাজিরাঙা অভয়ারণ্যের কথা। দেশবিদেশ থেকে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে সারা বছর। তবে অসমের বুকেই রয়েছে আরও এক অরণ্য, যেখানে একশৃঙ্গ গণ্ডারের ঘনত্ব আরও বেশি। আয়তনে ছোটো হওয়ায় অবশ্য সংখ্যার দিক থেকে কাজিরাঙাকে হারাতে পারেনি। তবে ‘মিনি কাজিরাঙা’ নামে খ্যাত এই অরণ্যের জলাশয়ে পাখির সংখ্যাও নেহাৎ কম নয়। সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে সেখানে সারা বছরে ৫৮ প্রজাতির পাখি এসে ভিড় জমিয়েছে।
গুয়াহাটি শহর থেকে মাত্র ৪৫ কিলোমিটার পূর্বদিকে গেলেই পৌঁছে যাবেন পবিতরা ওয়াইল্ডলাইফ স্যাঙ্কচুয়ারিতে। পর্যটকের ভিড় তুলনায় বেশ কম হলেও বন্য প্রাণীর ভিড় মোটেই কম নয়। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে সেখানকার পাখিদের সংখ্যাও। অবশ্য গতবছরের তুলনায় এবছর পক্ষীপ্রজাতির সংখ্যা কমেছে। ২০১৯ সালে সেখানে ৬৪ প্রজাতির পাখি দেখা গিয়েছিল। আর ২০২০ সালে সংখ্যাটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৮। যদিও পাখির মোট সংখ্যা বেড়েছে। ২০১৯ সালে যেটা ছিল ১৫ হাজার, ২০২০ সালে সেটা একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার।
মূলত অলাভজনক সংস্থা ‘আরণ্যক’-এর উদ্যোগেই এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। অবশ্য সেইসঙ্গে বনবিভাগের কর্মচারীরাও সহায়তা করেছেন। আর এগিয়ে এসেছেন টাটা ইনস্টিটিউট অফ স্যোসাল সায়েন্সের গবেষকরা আর অসমের স্থানীয় বাসিন্দারা। এই বিপুল সংখ্যক পাখির ভিড়ে বার্ড ওয়াচার আর ফটোগ্রাফাররা যে বিশেষ রসদ খুঁজে পাবেন, সেকথা বলাই বাহুল্য।
Powered by Froala Editor