দেশবাসীদের মধ্যে পরিবেশ সচেতনতা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। কিছুদিন আগেই মুম্বাই-এর অ্যারে কলোনির কয়েক হাজার গাছ রাতের অন্ধকারে কেটে দেওয়ার ফলে, সেখানকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ফলে সিদ্ধান্ত বদলায় সেখানকার সরকারও। অন্যদিকে, গত দেড় বছর ধরে সাফল্যের সঙ্গে সম্ভবত ভারতের বৃহত্তম বৃক্ষ প্রতিস্থাপনের কাজটি করে চলেছে ন্যাশানাল হাইওয়েজ অথরিটি অব ইন্ডিয়া।
দিল্লির সঙ্গে গুরগাঁও-এর যোগসূত্র স্থাপন করার জন্য তৈরি হচ্ছে ২৭.৬ কিলোমিটার লম্বা দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে। আর এই রাস্তা তৈরির সময়ই, দু’পাশের গাছগুলিকে না কেটে মাটি-সহ তাদের অন্যত্র প্রতিস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিগত দেড় বছর ধরে এই কাজই করে যাচ্ছে ন্যাশনাল হাইওয়েজ অথরিটি অফ ইন্ডিয়া। তাদের লক্ষ্য শুধুমাত্র গাছগুলিকে অন্য জায়গাতে স্থাপন করাই নয়, গাছগুলির বেঁচে থাকাও নিশ্চিত করা। প্রতিটি গাছের পিছনে ৩০,০০০ টাকা এবং সব মিলিয়ে ৭০ কোটি টাকা এই কাজে খরচ করছে সরকার।
আর তিন-চারমাসের মধ্যেই এই প্রতিস্থাপনের কাজ শেষ হওয়ার কথা। সম্পূর্ণ হলে, ভারতের বৃহত্তম বৃক্ষ প্রতিস্থাপনের কাজটি সফল হবে। গাছ না কেটেও যে উন্নয়ন করা যায়, দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে তার অন্যতম উদাহরণ হয়ে রইল।
ছবি ঋণ - wikinsoncox.com