ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ামাত্রই শহর জুড়ে জারি করা হয়েছিল সতর্কতা। বারংবার মানুষকে জানানো হয়েছিল, এই ঝড় কোনো সাধারণ ঝড় নয়। তবু বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর সাংবাদিক সম্মেলন থেকে জানা গেল, ঝড়ের দাপটে মৃত্যুর সংখ্যা ৭২। আর এই ৭২ জনের মধ্যে কলকাতায় ১৫, উত্তর চব্বিশ পরগনায় ১৭, হাওড়ায় ৭, পূর্ব মেদিনীপুরে ৬, বারুইপুরে ৬, রানাঘাটে ৬, সুন্দরবনে ৪ এবং আরও কিছু।
লকডাউনের জেরে প্রায় দুমাস গৃহবন্দি গোটা শহর কলকাতা। ঝড়ের কারণে বারংবার সতর্কতা জারি করার পরও মৃত্যুর সংখ্যা ১৫! এছাড়াও গোটা শহর তছনছ করে ছেড়েছে এই ঝড়। কোথাও বাড়ির পাঁচিল ভেঙে পড়েছে তো কোথাও মিনিবাস প্রায় দুটুকরো হয়ে গেছে গাছ পড়ে। শহর জুড়ে কেবল ধ্বংসের স্মৃতি ছড়িয়ে চারিদিকে।
পুর প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য থেকে জানা যায়, আন্দাজ করা হয়েছিল দু থেকে তিনশো গাছ উল্টে যেতে পারে। অথচ বাস্তব ছবিটি একদমই আলাদা। এলোমেলো হয়ে গেছে গোটা শহর। কলকাতার সর্বত্র জুড়ে পড়েছে প্রায় ৫ হাজার গাছ। বেশ ড্রেনেজ পাম্পিং স্টেশন জল ঢুকে অকেজো হয়ে গেছে। তবু আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে সামাল দেওয়ার।
২৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টির জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিল না কেউই। পুর প্রশাসক এও জানান যে, প্রায়োরিটি বেসিসে হাসপাতাল ও শ্মশান যাওয়ার রাস্তাগুলি আগে পরিষ্কার করা হচ্ছে। এরপর ধীরে ধীরে বড়, মাঝারি ও ছোটো রাস্তার গাছ কেটে সরানো হবে এবং পরিষ্কার করা হবে গোটা শহর।
কলকাতার সাম্প্রতিককালে এমন ঝড়ের সাক্ষী ত্থাকেনি। প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুরসভার কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন শহরকে পুরোনো ছন্দে ফিরিয়ে আনতে। মানুষকে ভরসা রাখার আর্জিও জানিয়েছে প্রশাসন।