বুদ্ধিমত্তার নিরিখে বর্তমান প্রজন্মকে বলে বলে গোল দিতে পারে আগামী প্রজন্ম— তা প্রমাণিত হয়েছে বার বার। তবে কেরলের কাসারাগড় ৫ বছরের কিশোরীর কাণ্ড এবার চমকে দিল সকলকে। যে বয়সে সাধারণ শিশু বর্ণ চিনতে শেখে, সেই বয়সে কোনো সংখ্যাকে একাধিক সংখ্যা পদ্ধতিতে প্রতিস্থাপন করে দেখাল সানভিশা সি নায়ার (Sunvisha Nair)।
সাধারণত আমরা যে সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি, তা বিজ্ঞানের পরিভাষায় পরিচিত ডেসিমাল পদ্ধতি হিসাবে। এছাড়াও বাইনারি, অক্টাল, হেক্সাডেসিমালের মতো একাধিক সংখ্যা পদ্ধতি প্রচলিত রয়েছে বিজ্ঞানের জগতে। বাইনারি বা দ্বিমিক পদ্ধতির ওপরেই দাঁড়িয়ে রয়েছে ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি এবং আধুনিক কম্পিউটিং-এর বুনিয়াদ।
এই প্রতিটি পদ্ধতিতে যে-কোনো সংখ্যার কোডিং করতে সক্ষম সানভিশা। আর কনিষ্ঠতম ব্যক্তি হিসাবে এই কৃতিত্বের জন্য বিশ্বরেকর্ড গড়ল কেরলের এই পাঁচ বছর বয়সী কিশোরী। আরও ভালো করে বলতে গেলে, রেকর্ড গড়ার সময় তার বয়স ছিল ৪ বছর ১১ মাস ১৩ দিন। শুধু পূর্ণ সংখ্যাই নয়, সমান দক্ষতায় দশমিক সংখ্যারও ডেসিমাল, অক্টাল বা হেক্সাডেসিমাল সমতুল্য মান নির্ণয় করে পারে কাসারাগড়ের এসজি পালিয়ার স্কুলের কিন্ডারগার্ডেনের ছাত্রী।
স্কুলের শিক্ষকদের তো বটেই, সানভিশার যে কোনো বিষয়কে দ্রুত আত্মস্থ করার ক্ষমতা অবাক করেছিল তার বাবা-মাকেও। সানভিশার মা নিজে একজন ডিজিটাল ইলেকট্রনিক্স প্রযুক্তিবিদ। ফলে, সংখ্যা পদ্ধতি নিয়ে তাঁকে কাজ করতে হয় রোজই। তাঁর থেকেই বিভিন্ন সংখ্যা পদ্ধতির মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয়ের পদ্ধতির শিক্ষা পায় সানভিশা। তবে গল্পের ছলে শেখানো এই গাণিতিক সম্পর্ককে যে আত্মস্থ করতে পারবে তাঁর সন্তান, তা নিজেও ভাবেননি তিনি।
আরও পড়ুন
১০৫ বছর বয়সে ১০০ মিটার স্প্রিন্ট, নতুন বিশ্বরেকর্ড মার্কিন ‘তরুণী’-র
মাস কয়েক আগেই বিশ্বরেকর্ডের জন্য আবেদন করেছিল সানভিশা। সম্প্রতি, নয়াদিল্লি ভিত্তিক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল বুক অফ রেকর্ডস’ স্বীকৃতি দিল সানভিশার এই কৃতিত্বকে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বিশ্বরেকর্ড করে আলোচনার মধ্যমণি হয়ে উঠেছিল বেঙ্গালুরুর এই কিশোরী। দ্রুততম ব্যক্তি হিসাবে ভারতের মানচিত্রে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং তাদের রাজধানীগুলি শনাক্ত করে নজির গড়েছিল সানভিশা। এবার নতুন পালক জুড়ল তার মুকুটে।
আরও পড়ুন
একই দিনে ৩ বার বিশ্বরেকর্ড, প্যারালিম্পিক জ্যাভলিনে স্বর্ণজয় সুমিতের
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
১ মিনিটে ২৯ জন বলি-অভিনেতার মিমিক্রি, বিশ্বরেকর্ড জলপাইগুড়ির ময়ূখের