ক্রমশ উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যে তৈরি হল আক্রান্তের নতুন রেকর্ড। সেই সঙ্গে একদিনে হল রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যুও। করোনার এই অব্যহত দাপটে কার্যত দিশেহারা রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর।
গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হলেন ২৫৮৯ জন। যার জেরে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭২৭৭৭। একদিনে মারা গেলেন ৪৮ জন মানুষ। অর্থাৎ প্রতি আধঘণ্টায় মারণ ভাইরাসের শিকার হয়েছেন একজন। এদিন মৃত্যুর সংখ্যাও ছাড়াল ১৬০০-র গণ্ডি।
সংক্রমণ রুখতেই মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর। আগের দিনের তুলনায় আরও খানিকটা বাড়ানো হয়েছে টেস্টের সংখ্যাও। শনিবার ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হয় রাজ্যে। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে তারপরেও আয়ত্তে আসছে না সংক্রমণ এবং পজিটিভিটির হার। এই সূচকের মান এখনও ৭.৯৮ শতাংশ। অর্থাৎ, এই বিপুল পরিমাণ টেস্টও যথেষ্ট নয় রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির নিরিখে। বিশেষজ্ঞদের মতে পজিটিভিটির হার ৫ শতাংশের কম হওয়া উচিত।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২১৪৩ সংখ্যক মানুষ। এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রায় ২০ হাজার। এদিন সুস্থতার হার আরও খানিকটা বেড়ে দাঁড়াল ৬৯.৪১ শতাংশ। যা একমাত্র ইতিবাচক দিক হিসাবেই ভরসা দিচ্ছে রাজ্যবাসীকে।
অন্যদিকে ভারতে একদিনে আক্রান্ত হলেন ৫৪ হাজার মানুষ। আগেরদিনের থেকে আক্রান্তের সংখ্যা খানিকটা হলেও কমল দেশে। সুস্থ হয়েছে ৫১ হাজার মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে মারা গেছে ৮৪৮ জন। দেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন দাঁড়িয়েছে সাড়ে ১৭ লক্ষ। মৃত্যুর শিকার হয়েছেন সাড়ে ৩৭ হাজার মানুষ। তবে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অনবদ্য ভূমিকা পালন করেছে দিল্লি প্রশাসন। দেশের সবথেকে ভয়ঙ্কর করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল দিল্লি। সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা দিল্লিতে কমে এখন মাত্র ১০ হাজার। জুলাইয়ের শুরুতে যা ঘোরা-ফেরা করছিল ২৬-২৭ হাজারের কাছে।
করোনাকে ঠেকাতে দেশে বিভিন্ন প্রান্তে রাজ্য সরকারগুলি বিক্ষিপ্তভাবে সম্পূর্ণ লকডাউন ঘোষণা করেছে। কোথাও একটানা এক সপ্তাহের। কোথাও সপ্তাহে দু’দিনের। কিন্তু তারপরেও রোখা যাচ্ছে না সংক্রমণ। এইভাবে চলতে থাকলে ভ্যাকসিন বাজারে আসার আগেই আকাশ ছোঁবে আক্রান্তের সংখ্যা। এখন দেখার, দিল্লির দেখানো পথেই হাঁটে কিনা গোটা দেশ...
আরও পড়ুন
করোনা পরিস্থিতিতে দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন বৃহন্নলারাও
Powered by Froala Editor