বাণিজ্যিক আরোহণের প্রবণতা বাড়ার ফলে পাহাড়েও ছড়াচ্ছে দূষণ। দূষণের মাত্রা এতই বেশি যে, মাউন্ট এভারেস্টের কপালে জুটেছিল পৃথিবীর সর্বোচ্চ ভাগাড়ের তকমাও। নেপাল সরকার এভারেস্ট থেকে ১০ টন আবর্জনা সংগ্রহ করেছিল। এবারে হিমালয়ের বুকে মানুষের ফেলে আসা বর্জ্য পরিষ্কারের কাজে হাত লাগাল 'বালি ভাগীরথী' সংস্থা।
পির পাঞ্জাল হিমালয়ের মাউন্ট দেও টিব্বায় অভিযান চালিয়ে অভিযাত্রীদের ফেলে আসা আবর্জনা সংগ্রহ করেছেন এই সংস্থার সদস্যরা। সেই আবর্জনা মানালি পুরসভার দপ্তরে জমাও দিয়েছেন।
তাঁদের এই কর্মসূচির উদ্দেশ্য হল পাহাড়ের পরিবেশকে রক্ষা করা। যাঁরা অভিযান করেন, তাঁদের কেউ কেউ পাহাড়েই টিনের কন্টেনার, প্লাস্টিক, প্যাকেট ফেলে আসেন। এতে পাহাড়ের পরিবেশের অবনতি হচ্ছে। এর আগেও এমন কর্মসূচি নিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু আগেরবার সেই আবর্জনাগুলি মাটিতে পোঁতা আর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
গত ৩০ আগস্ট দলটি যাত্রা শুরু করে। ২ সেপ্টেম্বর মানালি পৌঁছে এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রাম লালের সাথে মাউন্ট দেও টিব্বায় রওনা দেন তাঁরা। অভিযাত্রী দলটির নেতৃত্বে ছিলেন উজ্জ্বল গঙ্গোপাধ্যায়। ৫ তারিখে পৌঁছান বেস ক্যাম্পে। ৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৭:০৬-এ মাউন্ট দেও টিব্বার চূড়ায় আরোহণ করেন সদস্য অভিষেক আগরওয়াল এবং গাইড শের সিং ও প্রীতম চাঁদ। দলের বাকি সদস্যরা বেস ক্যাম্পের আশপাশ থেকে অ্যালুমিনিয়াম মোড়ক, প্লাস্টিক ও খালি কন্টেনার ইত্যাদি সংগ্রহ করেন। প্রায় ৪৫ কেজি ওজনের আবর্জনা তাঁরা মানালি পুরসভা কর্তৃপক্ষের কাছে জমা করেছেন।