একের পর এক বনভূমিতে আগুন। গত ৬ মাসে বারবার উঠে এসেছে উত্তরাখণ্ডের কথা। এর মধ্যে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। সমস্ত রেকর্ড ছাপিয়ে রবিবার সারাদিনে ৪৫টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে উত্তরাখণ্ডে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে তড়িঘড়ি আলোচনায় বসে রাজ্য সরকারও। এমনকি কেন্দ্রের কাছ থেকে ইতিমধ্যে হেলিকপ্টার এবং বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও চেয়েছে উত্তরাখণ্ড সরকার।
শনিবার রাত পর্যন্ত আগুন মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে ছিল। কিন্তু সূর্য উঠতেই একের পর এক বনভূমিতে আগুন ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সরকারি হিসাব বলছে, ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ হেক্টর জঙ্গল পুড়ে গিয়েছে। আগুন লেগেছে করবেট ন্যাশানাল পার্কের পাশের জঙ্গলেও। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এখন বেশ কঠিন। গত ৬ মাসে ১ হাজারের বেশি দাবানলের ঘটনা ঘটেছে উত্তরাখণ্ডে। আগুনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫ জন মানুষ এবং ৭টি প্রাণী। তবে আগুন লাগার চূড়ান্ত সময় এখনও আসেনি বলেই জানাচ্ছে বনবিভাগ।
বনবিভাগ সূত্রে জানানো হয়েছে, মে মাসের চরম গরমে এরকম আগুন লাগার ঘটনা ঘটে প্রায়ই। তবে এবার সেই প্রক্রিয়াটা এপ্রিলেই শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস থাক্কায় পরিস্থিতি এর চেয়ে বেশি খারাপ হবে না বলেই মনে করছেন বনবিভাগের আধিকারিকরা। ইতিমধ্যে বনবিভাগের ১২টি দল আগুন নেভানোর কাজে নিযুক্ত। এমনকি পরিস্থিতি যতদিন নিয়ন্ত্রণে না আসছে, ততদিন ১০ হাজার কর্মীর সাপ্তাহিক ছুটিও বাতিল ঘোষণা করেছে উত্তরাখণ্ড সরকার। এখনও অবধি আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। মনে করে হচ্ছে স্থানীয় কৃষকদের জমিতে লাগানো আগুন কোনোভাবে জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে চূড়ান্ত ক্ষতির হাত থেকে যতটুকু বনজ সম্পদ রক্ষা করা যায়, যুদ্ধকালিন তৎপরতায় সেই চেষ্টাই করছে বনবিভাগ।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
অযোধ্য পাহাড় বাঁচাতে জোট স্থানীয় মানুষদের, দুদিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে