সারা পৃথিবীজুড়ে অতিমারীর কারণে প্রবল অর্থনৈতিক মন্দার পরিস্থিতি। অথচ এর মধ্যেও কিছু মানুষের সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি এমনই বৈপরীত্যের ছবি উঠে এল গ্লোবাল ওয়েলথ রিপোর্টের পরিসংখ্যানে। গত এক বছরে সারা পৃথিবীজুড়ে বিলিয়নিয়রের সংখ্যা বেড়েছে ৫ মিলিয়নেরও বেশি। বিশেষ করে ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার দেশগুলিতে অর্থনৈতিক মন্দার তেমন কোনো ছাপই পড়েনি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ রিপোর্টের সমীক্ষার সঙ্গে জড়িত বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিমারীর প্রথম চার মাস অর্থনীতি মন্দার মুখ দেখেছিল। কিন্তু এরপরেই ছবিটা বদলে যেতে থাকে। বিশেষ করে অতিমারীর কারণে অনেক দেশেই সুদের হার কমিয়ে আনা হয়েছিল। আর এর ফলেই বহু মানুষের হাতে পর্যাপ্ত অর্থ থেকে গিয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। পাশাপাশি বিভিন্ন স্থাবর সম্পত্তি, যেমন বাড়ির দাম বেড়েছে হঠাৎ করেই। আর এর ফলেই একটা অংশের মানুষের সম্পত্তির মূল্য বেড়ে গিয়েছে। ২০১৯ সালে সারা পৃথিবীতে বিলিয়নিয়রের সংখ্যা ছিল ৫২ মিলিয়ন। ২০২০ সালে সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬.১ মিলিয়ন।
এমনকি ৩০ লক্ষ ডলারের বেশি সম্পদের মালিক, বা অতি বিত্তশালী মানুষের সংখ্যাও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। এই ১ বছরে ২৪ হাজার মানুষ এই সীমানা পেরিয়ে গিয়েছেন। মুনাফাবৃদ্ধির এই স্রোতে সামিল ভারতও। আর ৫ বছরের মধ্যে ভারতে বিলিয়নিয়রের সংখ্যাটা ৫০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে যাবে বলেও মনে করছেন সমীক্ষকরা। তবে সাড়া পৃথিবীর দৃশ্যটা একেবারেই একইরকম নয়। এই অতিমারীর সময়ে মাথাপিছু সম্পদের পরিমাণ কমেছে প্রায় সব দেশেই। তার মধ্যে রাশিয়া, আরব এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলিতে সরকারের সমবণ্টন নীতির কারণেই কোনো একজন মানুষের হাতে বেশি সম্পদ জমা হয়নি। আর্থিক মন্দার আঁচ পেয়েছেন সকলেই। মানুষের তৈরি সভ্যতায় এই বৈপরীত্যই তো সত্যি।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
অর্থ তছরুপ ও জালিয়াতিতে দোষী মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্রী!