মনে করা হয়, আইনস্টাইন বা স্টিফেন হকিং-এর আইকিউ ছিল ১৬০। এই পৃথিবীতে তাঁরাই সবচেয়ে বুদ্ধিমান মানুষ। তবে চার বছরের ভারতীয় বংশোদ্ভুত দয়াল কাউরের আইকিউ ১৬০ না ছুঁলেও নেহাৎ কম নয়। তার আইকিউ ১৪৫। সবাইকে চমকে দিয়ে মেনসা তালিকায় নাম তুলে নিয়েছে দয়াল। ইতিমধ্যে অনেকে তাকে বেবি আইনস্টাইন বা ইয়ং আইনস্টাইন বলেও ডাকতে শুরু করেছে।
বার্মিংহাম নিবাসী দয়াল কাউর ছোটো থেকেই বাবা-মাকে অবাক করে এসেছে। মাত্র ১৪ মাস বয়সে ইংরেজি বর্ণমালা আয়ত্ত করে ফেলেছিল সে। তারপর থেকে এক একটা বই শেষ করে ফেলতেও বেশি সময় নিত না। ইতিমধ্যে বিজ্ঞানের নানা বিষয় তার আয়ত্তে। তাই ছোট্ট মেয়ে যখন এসে মেনসা তালিকায় নাম নথিভুক্ত করার কথা বলল, অবাক হননি দয়ালের বাবা-মা। বরং মেয়েকে অনুপ্রেরণাই দিয়েছেন। তবে প্রথম আবেদনের ভিত্তিতেই যে নাম নথিভুক্ত হয়ে যাবে, এমনটা তাঁরাও ভাবতে পারেননি।
১৯৪৬ সাল থেকে বিশ্বের অন্যতম বুদ্ধিমান মানুষদের নাম নথিভুক্ত করে চলেছে মেনসা। তবে এখনও অবধি সেই তালিকায় আছে মাত্র ১ লক্ষ ৩৪ হাজার নাম। কারণ পরীক্ষাটি বেশ কঠিন। নানারকম প্রশ্নের ভিতর দিয়ে জেনে নেওয়া হয় বুদ্ধির প্রকৃত দৌড়। তাতে উত্তীর্ণ হতে পারলে তবেই তালিকায় নাম ওঠা সম্ভব। আর এর মধ্যে প্রতিটি ধাপ সফলভাবে পেরিয়ে গিয়েছে দয়াল। শুধু তাই নয়, ব্রিটেনের অন্য কেউ এত কম বয়সে মেনসা তালিকায় নাম তুলতে পারেনি। দয়াল নিজে অবশ্য এই সাফল্য নিয়ে তেমন আবেগপ্রবণ নয়। বরং তার কাছে এটা খুবই সাধারণ। ভবিষ্যতে মহাকাশ বিজ্ঞানী হতে চায় দয়াল। আর সেখানেও সে সাফল্যের ছাপ রাখবে, সে-বিষয়ে আশাবাদী মেনসা তালিকা প্রস্তুতকারী কমিটিও। বিজ্ঞানের জগতে ভারতের নাম কি আবারও উজ্জ্বল করতে পারবে দয়াল?
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
ইজরায়েলের রাষ্ট্রপতি হওয়ার অনুরোধ, প্রস্তাব ফেরালেন আইনস্টাইন