সাম্প্রতিক হায়দ্রাবাদ গণধর্ষণ নিয়ে উত্তাল হয়েছিল দেশ। তরুণী পশুচিকিৎসককে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা করার নিন্দায় গর্জে উঠেছিল জনসাধারণ। গ্রেপ্তার হয়েছিল ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার অভিযুক্তও। আজ সকালে, নতুন একটি খবরে চমকে পাওয়া গেল। শুক্রবার ভোরে চারজন অভিযুক্তকেই এনকাউন্টারে হত্যা করেছে পুলিশ।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে ও সেদিন ঠিক কী ঘটেছিল, তা জানতে সাইবারবাদ থানার পুলিশ ওই চার অভিযুক্তকে নিয়ে যায়। সেখান থেকেই পালানোর চেষ্টা করে ওই চারজন। ততক্ষণাৎ পুলিশ গুলি চালায় এবং মৃত্যু হয় চারজনেরই। প্রসঙ্গত, ধর্ষণের ঘটনাস্থল থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বেই হত্যা করা হয় চার অভিযুক্তকে।
গত ২৮ নভেম্বর গ্রেপ্তার করা হয় ওই চার অভিযুক্তকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ও আরও অনেক জায়গায় সাধারণ মানুষ চরমতম শাস্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন তাদের। কেউ ফাঁসির পক্ষে ছিলেন, কেউ আবার তৎক্ষণাৎ মৃত্যুর। বিচারব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকেই। দিনের পর দিন কেটে গেলেও ধর্ষকদের শাস্তি হয় না অনেকক্ষেত্রেই – এই নিয়ে ক্ষোভেরও শেষ ছিল না। তবে পুলিশের এনকাউন্টারে মৃত্যু – এভাবে যে পরিসমাপ্তি ঘটবে ওই চার অভিযুক্তের, তা বোধহয় ভাবতে পারেননি কেউই।
তবে, অন্য প্রশ্নও উঠে আসছে একই সঙ্গে। এভাবে ভোররাতে পুলিশের এনকাউন্টার করা কতটা যুক্তিযুক্ত? যেখানে ভারতীয় বিচারব্যবস্থা অনুসারে অভিযুক্তরা 'অপরাধী' প্রমাণিত হয়নি এখনও, সেখানে এনকাউন্টারে প্রাণ নেওয়া কি এক অর্থে আইনেরই লঙ্ঘন নয়? নিরস্ত্র অভিযুক্তদের কি অন্যভাবে ধরতে পারত না পুলিশ? তর্ক চলছে সর্বত্র। এই নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত দেশও।
ছবি ঋণ - ANI