নাগরিকদের ওপর নজরদারি চালানোয় বিশ্বে তৃতীয় ভারত

ভারত। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ। কিন্তু আরো একটি বিষয়ে ভারত বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। কী সেই বিষয়? নাগরিকদের ওপর নজরদারি। হ্যাঁ, নাগরিকদের গোপনীয়তাকে নস্যাৎ করে তাদের ওপর নজরদারি করাতে ভারত, রাশিয়া ও চীনের পরেই নিজের স্থান অধিকার করেছে।

ইউ.কে ভিত্তিক রিসার্চ সংস্থা 'কম্প্রিটেক' এমন তথ্যই জানিয়েছে। এই সংস্থার তৈরি গোপনীয়তা সূচকে ভারত ৫-এ পেয়েছে ২.৪। যা নাগরিকদের ব্যর্থতা রক্ষায় এর ব্যর্থতাকেই নির্দেশ করে।

নন-ইউরোপিয়ান দেশগুলির মধ্যে আমেরিকার গোপনীয়তা সূচক ২.৭। ৩.১ পয়েন্ট পেয়ে নরওয়ের গোপনীয়তা সূচক সবচেয়ে বেশি। ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে গোপনীয়তা রক্ষায় এগিয়ে আছে যথাক্রমে আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, পর্তুগাল ও ডেনমার্ক।

বিশ্বের ৪৭টি দেশে এই সমীক্ষা করা হয়। সমীক্ষা ভিত্তি ছিল সাংবিধানিক সুরক্ষা, বায়ো মেট্রিকস, ডেটা শেয়ারিং ও সরকারের হস্তক্ষেপের ক্ষমতা। যদিও ইউরোপীয়ান দেশগুলিতে কঠোর জেনারেল ডেটা রেগুলেশন অ্যাক্ট আছে তবুও কোনো দেশই নাগরিকদের গোপনীয়তার পুরোপুরি সুরক্ষা দিতে পারে না। কিন্তু ভারতে নাগরিকদের গোপনীয়তা এত দুর্বল কেন? কারণগুলি হল :

১) আধার সনাক্তকরণ ব্যবস্থা : আধার ডেটাবেসে আছে নাগরিকদের ব্যাংক একাউন্ট ও ইনশিওরেন্সের মত তথ্যও।

২) ডেটা প্রোটেকশন বিল : ভারতে নাগরিকদের ডেটা প্রোটেকশন বিল যথেষ্ট দুর্বল।

৩) সিসিটিভি : ক্লোজ সার্কিট টেলিভিশন সার্ভাইলেন্স সম্পর্কিত যে আইন আছে তার অধিকাংশই অস্পষ্ট।

৪) মনিটরিং হোয়াটসআপ : ইউজারদের ডেটা এনক্রিপটেড বলে হোয়াটসআপ অথরিটি দাবি করে। কিন্তু আপনার ব্যক্তিগত চ্যাট ও অডিও মেসেজে আড়ি পাততে চাইছে সরকার। প্রতিটি মেসেজে ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট জুড়ে আপনার পাঠানো প্রত্যেক মেসেজই ট্রেস করতে চাইছে সরকার।

তাই আপনার ব্যাংক ব্যালেন্স হোক কিংবা রাজনৈতিক মতাদর্শ, গোপন কথাটি গোপনে রবে না কিছুতেই।

Latest News See More