হিমবাহ গলে গিয়ে সমুদ্রের জলের স্তর বেড়ে গেলেও, সেই জল গ্রহণযোগ্য হয় না। তার ওপর, আমাদের দেশেই মাটিতে জলের স্তর কমে যাচ্ছে ক্রমশ। চেন্নাই ইতিমধ্যেই বিশাল জল সংকটে ভুগছে, এবং পরবর্তী কালে একই অবস্থা ভোগ করার পথে যে ২১টি শহরের নাম আছে তার মধ্যে আগ্রা অন্যতম।
জলের কষ্ট বেড়েছে, নোংরা জল ব্যবহার করে রোগের প্রকোপও বেড়েছে পাশাপাশি। শরীর খারাপের কারণে বহু ছাত্রছাত্রী স্কুল ছেড়ে দিতে শুরু করায়, টেরি বাগিয়া গভর্মেন্ট মিডল স্কুল ২০১৬-তে প্রথম পদক্ষেপ নেয়। একটি এনজিও, সেন্টার ফর উর্বান অ্যান্ড রিজিওনাল এক্সেলেন্স-এর সাহায্যে ১৯ ফিট মাটি খোদাই করে ৮০,০০০ লিটার এবং ৩৫,০০০ লিটারের দুটি ট্যাংক বসানো হয়। ছাদের সঙ্গে পাইপে সংযোগ করে, ফিল্টার লাগিয়ে রেন ওয়াটার হার্ভস্টিং সিস্টেম গড়ে তোলে স্কুলটি।
এতে ডায়রিয়ার হার কমে গেছে ১৭%। পাশাপাশি, ২,৮০,০০০ লিটার বৃষ্টির জল সংরক্ষণ করতে সফল হয়েছে তারা। আলাদা করে জল কেনার খরচ, শুদ্ধিকরণের খরচ সব বাঁচিয়ে এই উদ্যোগের সাহায্যে আজ অব্দি ৭০,০০০ টাকা সঞ্চয় করতে পেরেছে স্কুল কমিটি। বাড়তি সুবিধা বলতে মিড ডে মিলের খাবার আরো সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হয়ে উঠেছে, এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থা সুন্দর হওয়াতে স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বাড়তে দেখা গেছে।
আগ্রারই আরো দুটো গভর্মেন্ট স্কুল একই ভাবে জল সংরক্ষণের ব্যাবস্থা করেছে। সাধারণ বাসিন্দারা তাঁদের নিজেদের সাধ্যমতো বৃষ্টির জল জমিয়ে রাখার কাজে উদ্যোগ নিয়েছেন। গোটা দেশবাসী প্রেরণা নিয়ে যদি জল ব্যবহারে আরো সচেতন হয়ে ওঠেন, তাহলে পরবর্তীকালে জল সংকটের চিন্তা হয়তো একটু হলেও কমে যাবে।