করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক আর চিনে প্রায় নেই বললেই চলে। যদিও এদেশ থেকেই সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে এই মারন ভাইরাস। তবে আরেক অনুজীবের প্রকোপ সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন চিনের চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যে প্রায় ৩ হাজার মানুষ এই ব্যাকটারিয়ার শিকার হয়েছেন।
নতুন এই রোগের নাম ব্রুসেলোসিস। রোগটা নতুন বললে অবশ্য ভুল হবে। মধ্যক্রান্তীয় জ্বর নামে পরিচিত এই অসুখ চিনের বেশ পুরনো রোগের একটি। তবে বহুদিন কোনো মহামারীর আকার নেয়নি ব্রুসেলোসিস। তবে এখন আবার উত্তর-পূর্ব চিনের মানুষের কাছে রীতিমতো আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এই রোগ। আর লাঞ্জো হেলথ কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ৩২৪৫ জন মানুষের শরীরে বাসা বেঁধেছে ব্যাকটেরিয়া।
যদিও এই রোগ তেমন সংক্রামক নয় বলে মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তবে আক্রান্ত মানুষের মুখের লালা বা নিঃশ্বাসের মাধ্যমে জীবিত ব্যাকটেরিয়া শরীরে ঢুকলে সুস্থ মানুষও জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন। আর এই জ্বরের সঙ্গে অনুঘটক হিসাবে আসে মাথাধরা, পেশি বেদনা বা দুঃশ্চিন্তার মতো রোগ।
তবে এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ করোনা মহামারীর আগেই শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। গতবছর জুলাই মাসে জোংমু লঞ্জো ফার্মাকিউটিক্যাল কোম্পানিতে ঘটে যায় একটি দুর্ঘটনা। সেখান থেকে নির্গত গ্যাস আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা ঢেকে ফেলেছিল। আর তখন কারখানায় চলছিল ব্রুসেলোসিস রোগের প্রতিষেধক তৈরির কাজ। এরপর ৫ মাসের মধ্যেই কারখানার ১৮০ জন কর্মচারী এই রোগে আক্রান্ত হন। তবে বর্তমানে এই ব্যাকটেরিয়ার শিকার বহু সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। তবে এখনও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। করোনার মতো আরেক মহামারীর জন্য প্রস্তুত হতে রাজি নয় প্রশাসন।
Powered by Froala Editor