গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে রেকর্ড সংখ্যক করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। ১ দিনে ৩২ হাজার সংক্রমণের পাশাপাশি দেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে সাড়ে ৯ লক্ষের গণ্ডি। আর এরকম পরিস্থিতিতে নতুন করে আশঙ্কার উদ্রেক করছে ব্যাঙ্গালোরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের রিপোর্ট।
বিজ্ঞানীদের দাবি দেশের করোনা পরিস্থিতির যা হাল, তাতে আগামী ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা ৩৫ লক্ষের গণ্ডি ছাড়াবে। সেইসঙ্গে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে ১০ লক্ষ। এমনকি পরিস্থিতি যদি খানিকটা সামাল দেওয়াও যায়, সেক্ষেত্রেও সংক্রমণের সংখ্যা ২০ লক্ষের কম হবে না। এবং সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৪ লক্ষের বেশি।
এই সতর্কবার্তার পাশাপাশি রাজ্যভিত্তিক সংক্রমণের একটি রেখাচিত্র আঁকার চেষ্টা করেছেন আইআইএসসির বিজ্ঞানীরা। তাতে দেখা যাচ্ছে এই সময়ের মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মহারাষ্ট্র। সেখানে সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়াবে ৬ লক্ষের বেশি। আর এর পরেই থাকবে দিল্লি, তামিলনাড়ু এবং গুজরাট। রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, পরিস্থিতি যদি এভাবেই এগোতে থাকে তাহলে ১ নভেম্বরের মধ্যে সংক্রমণের সংখ্যা দাঁড়াবে ১ কোটি ২০ লক্ষ এবং মৃত্যু হবে ৫ লক্ষ মানুষের। আর জানুয়ারি মাসের মধ্যে এই সংখ্যাটা পৌঁছবে যথাক্রমে ২ কোটি ৯০ লক্ষ এবং ১০ লক্ষে। অর্থাৎ দেশের ২ শতাংশের বেশি মানুষই এবছরের মধ্যে করোনা ভাইরাসের শিকার হবেন।
সারা দেশের মতো করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ভুগছে পশ্চিমবঙ্গও। গত ২৪ ঘণ্টায় দেড় হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন এবং মৃত্যু ঘটেছে ২০ জনের। এই নিয়ে এখনও পর্যন্ত হাজার জন মানুষের মৃত্যু হল এই রাজ্যে। স্বাভাবিকভাবেই বিজ্ঞানীদের সতর্কবার্তায় আশঙ্কা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। আদৌ কি রেহাই মিলবে এই মহামারি থেকে?
আরও পড়ুন
২০২১-এর আগে করোনার ১০০% কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কার অসম্ভব, দাবি ফরাসি বিজ্ঞানীর
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
রাজ্যে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছল ৩০ হাজারে, একদিনে আক্রান্ত ১৫০০