সারা দেশে অন্তত দু’ কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু সেই কর্মক্ষেত্র তৈরিতে রীতিমতো ব্যর্থ কেন্দ্র। থমকে আছে সরকারি ক্ষেত্রে কর্মী নিয়োগের পরীক্ষাও। তবে দেশের সার্বিক চিত্র কি তাই? লকডাউনে এই বেকারত্বই বেড়ে গেছে এক ধাক্কায়। কিন্তু কতটা? তারই এবার হিসাব দিল পরিসংখ্যান।
কেন্দ্র সংক্রমণের জন্য লকডাউনের ঘোষণা করেছিল গত মার্চের শেষেই। তারপরই কাজ হারিয়ে ছিলেন বহু মানুষ। পেরিয়ে গেছে প্রায় ৫ মাস। লকডাউনের পর দেশ হেঁটেছে আনলক পর্বের দিকে। তবুও সারা দেশেই অব্যহত কর্মী ছাঁটাইয়ের প্রক্রিয়া। আগস্টের শেষ অবধি কাজ হারিয়েছেন ২ কোটি ১০ লক্ষ বেতনভুক কর্মী। শুধু জুলাই আর আগস্ট মাসেই যথাক্রমে কাজ হারিয়েছেন ৪৮ এবং ৩৩ লক্ষ নাগরিক।
সম্প্রতি এই পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছেন সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি। সেখানে দেখানো হয়েছে ভারতে ২০১৯-২০তে বেতনভুক কর্মীদের সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ৬০ লক্ষ। তা এখন প্রায় নেমে এসেছে সাড়ে ৬ কোটির আশেপাশে। আগস্টে বেকারত্বের হার গত মাসের তুলনায় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৪০ থেকে ৮.৩৫ শতাংশে। গ্রামাঞ্চলের তুলনায় বেকারত্বের শিকার বেশি হয়েছেন শহরের মানুষই। কর্মসংস্থানের হারও আগস্ট মাসে নেমে এসেছে ৩৭.৫ শতাংশে। যা এপ্রিলে ছিল ৩৭.৭ শতাংশ। সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন রাঁধুনি, গাড়ির চালক, নিরাপত্তারক্ষী এবং পরিচারিকারা। দেশের পড়তে থাকা এই অর্থনীতিকে দাঁড় করানোর জন্য সরকারের বর্তমান পরিকল্পনা কী, তা যদিও অস্পষ্ট এখনও...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
সম্মানজনক কাজ নেই; ড্রাগ পাচার চক্রে জড়িয়ে পড়ছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মহিলারা