৩১ মার্চ। আজকের এই দিনটা গোটা বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক রূপান্তরকামী দিবস হিসাবে। কোথাও আবার এই দিনটারই উদযাপন হয় ‘জাতীয় ক্রেয়ন দিবস’ কিংবা ‘আইফেল টাওয়ার দিবস’ হিসাবে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহিও (Ohio) প্রদেশে আজকের তারিখটি উদযাপনের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে ভারতও। ‘কুমার শানু ডে’ (Kumar Sanu Day)। হ্যাঁ, বিগত দু’দশক ধরে কিংবদন্তি ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পীকে সম্মান জানিয়েই তাঁর নামে পালিত হয়ে আসছে এই দিনটি।
বিশ্বের বহু দেশেই এমন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মাননা জানিয়ে তাঁদের জন্মদিন পালিত হয় তাঁদের নামে। তবে মজার বিষয় হল, ৩১ মার্চ তারিখটা কুমার শানুর জন্মদিন নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন কুমার শানু দিবস হিসাবে বেছে নেওয়া হল দিনটাকে? এর পিছনে লুকিয়ে রয়েছে এক বিচিত্র ঘটনা।
২০০১ সাল সেটা। বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠান মঞ্চে সঙ্গীত পরিবেশনের জন্য মার্কিন সফরে গেছেন কুমার শানু। শিকাগো, নিউ ইয়র্কের পাশাপাশি সেই তালিকায় ছিল ওহিও-র ডেটন শহরও। আর সেখানে আজকের তারিখেই আয়োজিত হয়েছিল কুমার শানুর শো। সেদিন অসংখ্য ভারতীয় তো বটেই, সমস্ত প্রশাসনিক কাজ সামলে দর্শকাসন আলো করেছিলেন খোদ ডেটন শহরের মেয়র মিচেল টার্নার। ভারতীয় সঙ্গীত, বিশেষত বলিউডের গানের প্রতি অসম্ভব টানের কারণেই সেদিন হাজির হয়েছিলেন তিনি। পরের দু’ঘণ্টা কেটেছিল মুগ্ধতার আবেশে ডুবে।
কুমার শানুর গায়কিতে এতটাই মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন যে ব্যক্তিগতভাবে কুমার শানুর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। পরবর্তীতে, কুমার শানুকে বিশেষ সম্মাননা জানিয়ে ৩১ মার্চ তারিখটি তাঁকে উৎসর্গ করে পালন করার সিদ্ধান্ত নেন মিচেল। সেই থেকে গোটা ওহিও প্রদেশেই দিনটি পালিত হয়ে আসছে কুমার শানু দিবস হিসাবে।
প্রায় ৩০টিরও বেশি ভারতীয় ভাষায় গান গেয়েছেন কুমার শানু। ঝুলিতে রয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডও। তবে ভারতীয় উপমহাদেশের তিন দেশ ছাড়াও বিশ্বের সর্বত্রই তাঁর জনপ্রিয়তা আকাশছোঁয়া। ঠিক সেই সূত্র ধরেই ‘কুমার শানু দিবস’ পালিত হয় আমেরিকায়। তবে শুধু ৩১ মার্চ দিনটাই নয়, তাছাড়াও গতবছর কুমার শানুকে সাম্মানিক ডক্টরেট প্রদান করে আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়। সবমিলিয়ে ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়েও তাঁর পরিধি যে গোটা বিশ্বে বিস্তৃত, তাতে সন্দেহ নেই কোনো…
Powered by Froala Editor