সরকারি হিসাবে দেশে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২ লক্ষ ৬৭ হাজার। মৃতের সংখ্যাও ৭ হাজারের বেশি। প্রতিটা সংক্রমণের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে আতঙ্ক। আর সেই আতঙ্ক আরও উস্কে দিচ্ছে আইসিএমআরের সাম্প্রতিক রিপোর্ট। দেশের চিকিৎসা গবেষণা সংস্থার দাবি, অন্তত ১০টি শহরে করোনা আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ১৫ থেকে ৩০ শতাংশ। এই ১০টি শহর হল, মুম্বই, থানে, পুনে, আমেদাবাদ, সুরাট, দিল্লি, কলকাতা, ইন্দোর, জয়পুর এবং চেন্নাই। প্রতিটি শহরকেই আগে হটস্পট ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে সংক্রমণের মাত্রা যে এতটা বেশি, এমন কোনো সংকেত আগে পাওয়া যায়নি।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চের পক্ষ থেকে সম্প্রতি সমীক্ষা চালানো হয় ১০টি হটস্পট শহর এবং ২১টি রাজ্যের ৬০টি গ্রামীণ অঞ্চলে। আর সেই সমীক্ষার সূত্রেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য। যদিও এখনও রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়নি। আপাতত তা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এবং কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিবের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম নিজেদের বিশেষ সূত্রে সেই তথ্য প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে এও উল্লেখ করা হয়েছে, এইসব শহরের মানুষদের ইমিউনিটি সিস্টেম অনেক শক্তিশালী। ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটার পরেও সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং বেশিরভাগের শরীরেই কোনো উপসর্গ দেখা দেয়নি।
ভারতে করোনা সংক্রমণের হার অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় যথেষ্ট বেশি। প্রায় দুমাসের বেশি সময় ধরে লকডাউন চলার পরেও সামান্য শিথিলতার সঙ্গে সঙ্গেই আবার বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ। অথচ সরকারিভাবে এখনও দেশে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা স্বীকার করা হয়নি। সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতেই স্থানীয় স্তরে সমীক্ষা চালিয়েছে আইসিএমআর। আর এই রিপোর্ট যদি সঠিক হয়, তাহলে অন্তত স্বীকার করে নিতে হবে এই ১০টি শহরে গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়েছে। এবং করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার মত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে অনেকের শরীরেই।
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
ইকমো সাপোর্টে থেকে করোনাকে হার মানালেন কলকাতার তরুণী, চিকিৎসাজগতের বিরলতম ঘটনা