সবেমাত্র ৩ বছরে পা রেখেছে সে। তবে এর মধ্যেই প্রতিভায় সারা বিশ্বকে অবাক করল ভারতীয় খুদে। সকলকে বিস্মিত করেই গড়-গড় করে ২৩৫-টি দেশের রাজধানীর নাম এক নাগাড়ে বলে যেতে পারে ৩ বছরের এই ছোট্ট শিশু।
আরুষ কুলবর্গি। আহমেদাবাদের মামিনগরের বাসিন্দা এই আশ্চর্য শিশু। তবে শুধু রাজধানীর নাম নয়। ছোট্ট আরুষ নিমেষেই চিনিয়ে দিতে পারে বিভিন্ন দেশের জাতীয় পতাকাও। বলতে পারে সরস্বতী বন্দনা, রাম-স্তুতি, গুরু ব্রহ্মার মন্ত্রপাঠ। তাও সুরে-সুর মিলিয়ে। তবে অকল্পনীয় স্মৃতিশক্তির অধিকারী আরুষের এই ক্ষমতা জন্মগত।
মাত্র ১ বছর বয়সেই তার এই প্রতিভার কথা বুঝতে পেরেছিলেন তার বাবা-মা। যে বয়সে তার সমবয়সীদের কিছু শিখতে পারা তো দূরের কথা, কথাই ফোটে না মুখে। সেই বয়সেই আরুষ খাতায় ছবি দেখে চিনিয়ে দিতে পারত বিভিন্ন ফল, ফুল, শাক-সবজি, গাড়িকে। একটু বড় হতেই ছোট্ট আরুষের নেশা হয়ে যায় বিভিন্ন দেশের ফ্ল্যাগ কার্ড। আরবে কর্মরত বাবা মাঝে মাঝেই তাকে এনে দিত এই কার্ডের কালেকশন। আর সেখান থেকেই বিভিন্ন দেশের নাম, রাজধানী এবং জাতীয় পতাকার ছবি গেঁথে যায় তার মননে।
লকডাউনে তার বাবা-মায়ের নজরে আসে ছবি দেখেই আরুষ চিহ্নিত করতে পারছে দুই শতাধিক দেশের পতাকা। ইন্টারনেট খুঁজে তাঁরা জানতে পারেন পৃথিবীতে ২১৫টি জাতীয় পতাকা চিহ্নিত করতে পারার রেকর্ড রয়েছে। তা দেখেই লকডাউনে তার এই আশ্চর্য ক্ষমতার ভিডিও রেকর্ড করে বিভিন্ন সংস্থায় পাঠিয়েছিলেন তার বাবা-মা। আর সত্যতা যাচাই করে আরুষকে বিশ্বরেকর্ডের স্বীকৃতি দেন তাঁরা। ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ড এবং এশিয়া বুক অফ রেকর্ডের খাতায় উঠে যায় তিন বছরের খুদের নাম।
আরও পড়ুন
১২ বছর ধরে ফেলে দেওয়া জাতীয় পতাকা সংগ্রহ করেন হাওড়ার প্রিয়রঞ্জন
ছেলের এই প্রতিভায় এবং সাফল্যে মুগ্ধ তার বাবা-মা। অবাক পরিজন-পড়শিরাও। এই বয়সেই এই প্রতিভা হলে, তার ভবিষ্যৎ কী— তা ভেবেই বিস্মিত দেশবাসী। তবে ভবিষ্যতের কথা তুলতে এখনই আগ্রহী নন তার বাবা-মা। আরুষের ওপর কিছু জোর করে চাপিয়ে দিতে নারাজ তাঁরা, সে কথা স্পষ্ট জানিয়েছেন...
আরও পড়ুন
সুইৎজারল্যান্ডের পাহাড়ে ফুটে উঠল ভারতের পতাকা, লকডাউনে সংহতির বার্তা
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
৭১ হাজার টুথপিক দিয়ে তৈরি জাতীয় পতাকা, স্কুল শিক্ষকের কীর্তি