গিনেস রেকর্ডের হ্যাটট্রিক, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবে নজির ভারতীয় পড়ুয়াদের

তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্ব ও কার্যকারিতার সম্পর্কে সচেতন করতে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবের (International Science Festival) আয়োজন করে থাকে কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। এই উৎসবে প্রতিবছরই খুদে বিজ্ঞানীদের নানান কীর্তি নজর কাড়ে গোটা দেশের। এবারেও অন্যথা হল না তার। চলতি বছরে এক অনন্য নজির তৈরি করল ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সায়েন্স ফেস্টিভাল। পর পর তিন দিনে তিনটি গিনেস বিশ্ব রেকর্ডের (Guinness World Record) জন্ম দিল ভারতের আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসব। 

চলতি বছরে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে পানাজির জিমখানা ময়দানে। গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছিল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবটি। অংশ নিয়েছিল গোটা দেশের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী তথা খুদে গবেষক। আর তাদের কার্যকলাপ রীতিমতো চোখ ধাঁধাঁল গোটা দেশের। 

মেলা শুরুর দিন, শনিবারই প্রথম গিনেস বিশ্বরেকর্ড তৈরি করে গোয়ার ছাত্ররা। জিমখানা ময়দান থেকেই উৎক্ষেপিত হয় ৫৩১টি মডেল রকেট। যার মধ্যে ৪৯৬টি রকেট সফলভাবে উৎক্ষেপণ করে খুদে বিজ্ঞানীরা। কোনো একটি নির্দিষ্ট অঞ্চল থেকে সবথেকে বেশি সংখ্যক রকেটের সফল উৎক্ষেপণের গিনেস বিশ্ব রেকর্ড তৈরি হয়। সবথেকে মজার বিষয় হল, এই সমস্ত রকেটই প্রস্তুত করা হয়েছিল সম্পূর্ণ বর্জ্য পদার্থ থেকে। 

রবিবার আরও একবার সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে উঠে আসে ভারতীয় খুদে বিজ্ঞানীদের কর্মকাণ্ড। বর্জ্য হিসাবে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিকের কাপ থেকে বৃষ্টির জল সংরক্ষণ এবং পরিশোধনের একটি মডেল তৈরি করে গোয়ার ৯৪০ জন শিক্ষার্থী। যাঁদের অধিকাংশই ছিলেন সপ্তম এবং অষ্টম শ্রেণির। সেইসঙ্গে এই প্রকল্পে অনলাইনে অংশগ্রহণ করেছিল ভারতের ১২৫টি দেশের আরও ৩ হাজার ছাত্র-ছাত্রী। প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে তৈরি বৃহত্তম রেইন-ওয়ারটার হার্ভেস্টিং সিস্টেম হিসাবে গিনেস বুকের পাতায় নাম তোলে এই প্রকল্প। আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবে তৃতীয় গিনেস বিশ্ব রেকর্ডটি তৈরি হয় সোমবার। স্বল্প সময়ের মধ্যে রেডিও টেলিস্কোপ ডিস অ্যান্টেনার বৃহত্তম কার্যকারী প্রতিরূপ নির্মাণ করে আরও নজির তৈরি করে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা।

এর আগেও আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান উৎসবে একাধিকবার কৃতিত্বের ছাপ রেখেছিল দেশের খুদে গবেষকরা। তাদের তৈরি বিভিন্ন প্রকল্প ছিনিয়ে নিয়েছিল আন্তর্জাতিক সম্মাননাও। তবে বিজ্ঞান উৎসবের একই মরশুমে তিন তিনটি বিশ্বরেকর্ড করার এই নজিরকে বিরল বললেও বোধ হয় কম বলা হয়। 

Powered by Froala Editor