বর্তমানে ব্যবহারের হার কমে গেলেও, রেডিও এককালে প্রায় সবাই শুনেছেন। এখনও অনেকেই এর নেশা ছাড়তে পারেননি। প্রায় সব রকমের রেডিও অনুষ্ঠানের মধ্যে, চাষের ওপর আলাদা করে অনুষ্ঠান বেশ বিরল। কিন্তু আশ্চর্যজনক ভাবে কেরালার অল ইন্ডিয়া রেডিওর ঠিক এরকমই একটি অনুষ্ঠানের জন্য রাজ্য জুড়ে বিখ্যাত মুরলিধরন থাজাককারা।
১৯৯১ সালে জয়েন করে টানা ২৮ বছর ধরে প্রত্যেকদিন ২৫ মিনিটের ‘ভায়ালুম ভীদাম’ নামের অনুষ্ঠানটি করে গেছেন তিনি। ছোটবেলায় কৃষক পরিবারে বড় হয়ে,পরবর্তীকালে এগ্রিকালচার নিয়ে পাস করে, কেরল এগ্রিকালচার ইউনিভার্সিটি-তে ১০ বছর কাজ করার পর রেডিওতে যোগ দিয়েছেন তিনি। ফলে কৃষকদের সঙ্গে সহজে সংযোগ করতে পারতেন তিনি। চাষের নতুন বিদেশি, কমদামি, ভালো কীটনাশক কী কী হতে পারে এসব জরুরি তথ্য ছাড়াও প্রতিটি অনুষ্ঠানেই তিনি কৃষির সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নিতেন। প্রত্যেক রেডিও সঞ্চালককেই ৩ বছর অন্তর আলাদা অনুষ্ঠান দেওয়া হয়, কিন্তু থাজাককারার খ্যাতি এবং শ্রোতাদের ভালোবাসা তাঁকে ২৮ বছর ভায়ালুম ভাদুমে সস্নেহে আটকে রেখেছে। বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি পুরস্কার এবং অকুণ্ঠ ভালোবাসা নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত থাজাককারার এখন ইচ্ছে, শহুরে এলাকাতেও সবুজ দেখা দিক এবং মানুষ এখনও রেডিও নিয়ে বাঁচুক।