এ-মূহূর্তে বায়ুদূষণের সবচেয়ে বেশি প্রভাব দিল্লিতে। অন্যান্য দূষণের প্রকোপ থেকেও মুক্তি নেই অবশ্য। বায়ুদূষণের পাশাপাশি প্লাস্টিক দূষণও চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে দ্রুত। শুধু দিল্লি নয়, এই সমস্যা গোটা ভারতেরই। প্লাস্টিক উৎপাদনে বিশ্বের পনেরোতম স্থানে রয়েছে ভারত। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন ২৫৯৪০ টন প্লাস্টিক জমা হয় গোটা দেশে।
রাস্তা-ঘাটেই শুধু নয়, প্লাস্টিকের ব্যবহার এখন মানুষের নিত্যদিনের অভ্যেস। ঘরে-বাইরে, বাজারে সর্বত্র প্লাস্টিকের ছড়াছড়ি। অথচ ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বেশিরভাগটাই পুনর্ব্যবহার করা যায় না। এমনকি, উৎপন্ন প্লাস্টিকের ৪০ শতাংশ সংগ্রহ করা হয় না বলে জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।
বছরের পর বছর জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলেছে প্লাস্টিকের পরিমাণ। প্রতিদিনের মাত্র ৬০ শতাংশ প্লাস্টিক সংগ্রহ করার পর রিসাইক্লিং করা হয়। বিনামূল্যে সহজেই মিলে যায় এই প্লাস্টিক, তাই কেনাকাটার পর যে-কোনো জিনিসই প্লাস্টিকে করেই নিয়ে আসে মানুষ। কিন্তু ক্ষতি যা হবার তা হচ্ছেই, মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা চালিয়েও লাভ হচ্ছে না কিছুই। তাই কড়া হাতে প্লাস্টিকের ব্যবহার দমন করতে চায় সরকার।