জুলাই মাসে মাঝামাঝি সময় থেকেই ভারতের বিভিন্ন অংশে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত চলছিলই। আগস্টেও সেই ধারা অব্যহত ছিল। ফলে বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হয় বহু অঞ্চলে। সম্প্রতি মৌসম ভবনের প্রকাশ করা পরিসংখ্যান থেকেই স্পষ্ট উঠে এল এই ভয়াবহ বন্যার কারণ। গড় বৃষ্টিপাতের থেকে এই বছর আগস্ট মাসে ২৪ শতাংশ বাড়তি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা ১৯৮৩ সালের পর এই প্রথম। যদিও এখনও শেষ হয়নি আগস্ট মাস।
এই বাড়তি বৃষ্টিপাতের ঘটনা অন্যান্য অঞ্চলের মতোই এবছর উল্লেখযোগ্যভাবে দেখা গেল মধ্য ভারত এবং পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলির মধ্যে। রাজস্থান এবং গুজরাটের মতো রাজ্যে আগস্ট মাসের ৫ তারিখের পর তিন সপ্তাহে স্বাভাবিকের থেকে যথাক্রমে ১৩, ৪২ এবং ৪১ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগস্টের শেষ সপ্তাহ অর্থাৎ ২৬ আগস্ট থেকে ৩ সেপ্টেম্বর অবধিও এই বাড়তি বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অব্যহত থাকবে বলেই জানাচ্ছে মৌসম ভবন।
তবে ৩ সেপ্টেম্বরের পর থেকে ধীরে ধীরে কমবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের আগে বঙ্গোপসাগরে আর কোনো নিম্নচাপ তৈরি হবে না বলেই পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। তবে আগামী দু’দিনের জন্য মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের সংযোগ রেখায় একটি নিম্নচাপের দরুন ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আস্তে আস্তে তার ক্ষমতাও কমবে বলে জানাচ্ছে মেটিওরোলজিকাল ডিপার্টমেন্ট।
২৯ তারিখ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে গুজরাট, গোয়া, পাঞ্জাব, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশেও। রাজ্যগুলিকে বিশেষভাবে সতর্ক করেছে আইএমডি। আগে থেকেই বৃষ্টিপাতের জন্য রাজ্যগুলির মাটি অনেকাংশে সিক্ত হয়ে আছে। পুনরায় ভারী বৃষ্টিতে ধস কিংবা বন্যার মত ঘটনার শিকার হতে পারে রাজ্যগুলি।
আরও পড়ুন
বন্যার কবলে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা; ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনায় জারি সতর্কতা
২০২০ মরশুমে সব মিলিয়ে সারা ভারতে ৮ শতাংশ বৃষ্টিপাত বেশি হল। ২৩, ৪, ১৬ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে যথাক্রমে দক্ষিণ, পূর্ব ও মধ্য ভারতে। তবে উত্তর-পশ্চিম ভারতে এই চিত্র খানিকটা ব্যতিক্রমী। সেখানে ১২ শতাংশের ঘাটতি থেকে গেল। তবে সব মিলিয়ে ভারতের বৃষ্টিপাতের পরিসংখ্যান শেষ কয়েক বছরের রেকর্ড হয়ে রয়ে গেল এবারে...
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
ঘূর্ণিঝড়ের রেশ কাটতে না কাটতেই বন্যা, আশ্রয়হীন মৌসুনী দ্বীপের ৩ হাজার মানুষ