হাথরাসের নৃশংসতা এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে সারা দেশের মানুষকে। ক্ষোভে ফেটে পড়েছে সারা ভারত। গতকালই মারা গেলেন ১৯ বছরের ধর্ষিতা কিশোরী। এরই মধ্যে ঘটে গেল আরও একটা পাশবিক ধর্ষণকাণ্ড। এবারেও সেই উত্তরপ্রদেশ। মঙ্গলবার বলরামপুর জেলায় গাইনসারী গ্রামে গণধর্ষণের পর নির্মমভাবে হত্যা করা হল বাইশ বছরের এক দলিত কলেজ ছাত্রীকে।
দীর্ঘ লকডাউনের পর আবার শুরু হতে চলেছে কলেজ। আর সেই কারণেই দ্বিতীয় বর্ষের বাণিজ্য বিভাগের এই ছাত্রী পাচপেরওয়া কলেজে গিয়েছিল অ্যাডমিশন ফ্রম ভরতে। তবে বাড়ি ফেরা হল না আর। রাস্তা থেকেই অপহরণ করা হয় তাঁকে। ধর্ষণের পর নৃশংসভাবেই তাঁর পা এবং কোমরের কাছে মেরুদণ্ড ভেঙে দেওয়া হয়। কমপক্ষে দু’জন ব্যক্তি তাঁর ওপর নির্যাতন চালায় বলে জানা গেছে এখনও অবধি।
ওই ছাত্রীর পরিবার অভিযোগ জানায় ধর্ষণের আগে ব্যবহৃত হয়েছিল ড্রাগ। কথা বলতে গিয়ে জড়িয়ে যাচ্ছিল ভাষা, জানিয়েছেন ধর্ষিতার মা। রাত সাড়ে ৯টার সময় লড়াই শেষ হয় ওই তরুণীর। রাত সাড়ে ১০টার সময় তাঁর মৃতদেহ দাহ করা হয় দ্রুততার সঙ্গেই। তবে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থাগ্রহণ করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে। তাঁদের বয়ানের ভিত্তিতে তদন্ত করে দেখছে প্রশাসন।
হাথরাসের তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশি গাফিলতির দিকে আঙুল উঠেছিল। এবার বলরামপুরের এই ঘটনায় আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। দ্রুত তদন্তের এবং বিচারের দাবিতে সরব হয়েছে দেশ। কিন্তু প্রয়োজনীয় তদন্তের আগেই কেন দাহ করে দেওয়া হল নির্যাতিতার দেহ, তা নিয়েই ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে।
এই ঘটনার পাশাপাশিই উত্তরপ্রদেশের বুলন্দ শহরে ঘটে যায় আরও একটি ধর্ষণের ঘটনা। সেখানে ১৪ বছরের কিশোরীর নির্যাতনে অভিযুক্ত প্রতিবেশী। উত্তরপ্রদেশে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনায় উঠে আসছে একাধিক সংশয়। ধর্ষণ রুখতে কতটা তৎপর উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। কবে মানুষের থেকে অবলুপ্ত হবে এই হিংস্র প্রবৃত্তি?
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
২ সপ্তাহ লড়াইয়ের শেষে মৃত্যু দলিত যুবতীর; কেন ধর্ষণ রুখতে বারবার ব্যর্থ উত্তরপ্রদেশ?