করোনা পরিস্থিতিতে অনেক খারাপ খবরের মাঝেও হাঁপ ছেড়ে বেঁচেছিল প্রকৃতি। দিল্লির বাতাসের উন্নতির কথা বারবার উঠে এসেছে নানা সমীক্ষায়। কিন্তু পুরোটাই যে সাময়িক, সেটাই দেখা গেল সাম্প্রতিক আন্তর্জাতিক রিপোর্টে। সম্প্রতি আইকিউ এয়ার সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০২০ সালেও বায়ুদূষণের নিরিখে পৃথিবীতে দশম স্থানে রয়েছে দিল্লি। শুধু তাই নয়, বিশ্বের প্রথম ৩০টি দূষিত শহরের মধ্যে ২২টি শহরই ভারতের।
সারা পৃথিবীর ১৬০টি দেশের বাতাসের নমুনায় পিএম-২.৫ কণার পরিমাণের উপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়েছে এই তালিকা। তাতে শীর্ষস্থানে জায়গা করে নিয়েছে চিনের সিয়ানজিং শহর। তবে পরবর্তী ৯টা শহরই ভারতের। পৃথিবীর দ্বিতীয় দূষিত শহর গাজিয়াবাদ। আর এর পরেই আছে বুলন্দশহর, জালাপুর, নয়ডা, গ্রেটার নয়ডা এবং কানপুর। মূলত ২২টি শহরের প্রতিটিই দিল্লি সংলগ্ন অঞ্চলে অবস্থিত। তবে এর বাইরে আছে বিহারের মুজফফরপুরও। দূষণ প্রতিরোধে ভারত সরকারের নেতিবাচক ভূমিকার কথাও তুলে ধরেছে আইকিউ এয়ারের রিপোর্ট।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ভারতের বাতাসে পিএম-২.৫ কণার সবচেয়ে বড়ো উৎস যানবাহন। সারা পৃথিবীতে যখন বৈদ্যুতিক যান পরিবহণের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে, ভারত তখনও খনিজ তেলের উপরেই নির্ভর করে আছে। একাধিক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের পরেও ভারতের রাষ্ট্রনায়করা বৈদ্যুতিক পরিবহণব্যবস্থার উপর জোর দিতে রাজি হচ্ছেন না।
পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জনঘনত্বের দেশ ভারত। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে বাতাসের সামান্য অবনতিও বহু মানুষের স্বাস্থ্যের বিপদ ডেকে আনতে পারে। বলা ভালো, প্রতি মুহূর্তে বিপদ ডেকে আনছে। তবে এই সমস্যার সমাধানও খুব কঠিন নয়। শুধু প্রয়োজন একটু সচেতনতা আর প্রয়োজনীয় উদ্যোগ। তবে ২০২০ সালে দূষণ খানিকটা হ্রাস পেলেও লকডাউন শেষ হতে না হতেই আবারও দূষণ বাড়ছে। আগামী সময় কতটা ভয়াবহ হতে পারে, সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে আইকিউ এয়ারের রিপোর্ট।
আরও পড়ুন
ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ির সমস্ত দূষণ শুষে নিতে পারে এই উদ্ভিদ!
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
দূষণমুক্ত বায়ুই বাড়িয়ে তুলেছে পৃথিবীর উষ্ণতা, চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল গবেষণায়