বছর গড়াতে চলল, আর প্রতি বছরের মতো এ-বছরও সারা পৃথিবীর মানুষ তাকিয়ে আছেন নোবেল প্রাপকদের তালিকার দিকে। তবে সেইসঙ্গে ছিল সংশয়ও। এই মহামারী পরিস্থিতিতে কি আদৌ সম্ভব হবে নোবেল পুরস্কার বিতরণের অনুষ্ঠান? নোবেল ফাউন্ডেশনের প্রধান লার্স হেইকেনস্টেনের কথায়, তাঁরাও চিন্তিত ছিলেন সমগ্র প্রক্রিয়াটি নিয়ে। মার্চ-এপ্রিল মাস থেকে অবশ্য অনেকেই আশা করেছিলেন যে কিছুদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। কিন্তু সময় যত এগোতে থাকে, ততই বাড়োতে থাকে দুশ্চিন্তাও। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও প্রাপকদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়ার এক ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়েছে ফাউন্ডেশন।
এবছর নোবেল প্রাপকদের তালিকা ৫ অক্টোবর থেকেই ক্রমশ প্রকাশিত হবে। প্রত্যেক বছরের মতোই এবছরও সমস্ত বিভাগে পুরষ্কার দেওয়া হবে। কিন্তু প্রাপকদের কাউকেই স্টকহোম শহরে ডেকে পুরস্কার দেওয়া হবে না। ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে জমায়েত না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নোবেল ফাউন্ডেশন। তার বদলে ১০ ডিসেম্বর একটি টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হবে। প্রাপকরা পুরস্কার পাবেন ঘরে বসেই। প্রাপকদের মিলিত অনুষ্ঠানও হবে না। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ২০২১ সালের অনুষ্ঠানে এবছরের প্রাপকদেরও ডেকে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন হেইকেনস্টেন।
হেইকেনস্টেনের কথায়, প্রতি বছর সারা পৃথিবীতে বিজ্ঞান অর্থনীতি সহ সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য দেওয়া হয় এই পুরস্কার। সুইডিশ ইঞ্জিনিয়ার অ্যালফ্রেড নোবেলের সেই ইচ্ছা পূরণ হয়ে এসেছে এতদিন ধরে। তবে এই মহামারী পরিস্থিতি নোবেল পুরস্কারের জন্য আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন হেইকেনস্টেন। এবছর বিজ্ঞান তো বটেই, অর্থনীতি ও সামাজিক ক্ষেত্রেও বহু মানুষের নিরন্তর প্রচেষ্টা মানুষকে অনেকটা স্বস্তি দিয়েছে। সেইসব যোদ্ধাদের সম্মান জানানোর দায়িত্ব থেকেই যায়।
৫ অক্টোবর প্রকাশিত হতে চলেছে চিকিৎসা বিজ্ঞানের নোবেল প্রাপকের নাম। এরপর একে একে অন্যান্য বিভাগের প্রাপকদের নামও প্রকাশিত হবে। সারা পৃথিবীর মানুষের নজর এখন সেইদিকেই।
Powered by Froala Editor