১২০ বছরের ইতিহাসে অষ্টম উষ্ণতম বছর ২০২০, জানাচ্ছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ

২০২০ সাল অনেক খারাপের মধ্যেও যেন একটু স্বস্তি এনে দিয়েছিল। আর কিছু না হোক, পরিবেশ তো কিছুটা নির্মল হল। কিন্তু এর পরেও ক্রমশ বাড়তে থাকা উষ্ণতা কমার কোনো চিহ্ন দেখা গেল না। আর সম্প্রতি ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ পেল, ২০২০ সাল বিশ ও একুশ শতক মিলিয়ে অষ্টম উষ্ণতম বছর। বিশ্ব উষ্ণায়নের কোপে ভারতের অবস্থা এবার সত্যিই শোচনীয়।

১৯০১ সাল থেকেই ভারতের আবহাওয়া বিভাগ দেশের গড় উষ্ণতার বার্ষিক খতিয়ান লিপিবদ্ধ করে চলেছে। আর প্রতি দশকের শেষে সেই খতিয়ান প্রকাশ করা হয়। সম্প্রতি সেই রিপোর্ট প্রকাশ পেলে দেখা যায় অষ্টম উষ্ণতম বছর হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে ২০২০ সালকে। যদিও প্রথম স্থানে থাকা ২০১৬ সালের থেকে গত বছরের উষ্ণতা অনেকটাই কম। তবে রিপোর্টে উষ্ণতম দশক ২০১১-২০২০। আর দ্বিতীয় উষ্ণতম দশকও ২০০১-২০১০। আর এই সার্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব যে পরিবেশ ও প্রাণীজগতের উপর পড়ছে, সেকথা বলাই বাহুল্য।

রিপোর্টে দেখা গিয়েছে উষ্ণতম বছরের তালিকায় প্রথম ১৫টির মধ্যে ১২টি গত ১৫ বছরের মধ্যে। আর এর মধ্যে ২০১৬ সালে দেশের গড় উষ্ণতা ছিল স্বাভাবিকের থেকে ০.৭১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি। ২০২০ সালে সেই মাত্রাটা কমে ০.৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। তবে বিশ শতকে যেখানে উষ্ণতার বৃদ্ধি ০.৬৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল, সেখানে একুশ শতকে মাত্রাটা ০.৯৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেক্ষেত্রে এই শতাব্দী শেষ হওয়ার আগেই দেশের গড় উষ্ণতা বিপদসীমা অতিক্রম করবে। ফলে খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া না হলে পরিবেশ ও প্রাণীজগতের অপূরণীয় ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কীভাবে পরিবেশকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব, তার কোনো রাস্তা দেখাতে পারছেন না আবহাওয়া দপ্তরের কর্তারা। আপাতত সভ্যতার সামনে এটাই সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন।

Powered by Froala Editor