নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছিল একসময়। তবে সকলের অজান্তেই নিজের অস্তিত্ব বজায় রেখেছিল প্রাচীন স্থাপত্য। বহু বছর পর নিদর্শন পাওয়া গেল সুপ্রাচীন শিব মন্দিরের। অন্ধ্রপ্রদেশের পেরুমালাপাদু গ্রামের পেন্না নদীর ধারে বালি খননের সময় উঠে এল মন্দিরটি।
মন্দিরটির আনুমানিক বয়স অন্তত দুশো বছর। সেখানে মহাদেব শিবের বিচরণ নাগেশ্বর স্বামী রূপে। তবে কয়েক দশক আগেও বেশ জনপ্রিয় ছিল মন্দিরটি। প্রায় ৮০ বছর আগে পেন্না নদীর গতিপথ পরিবর্তন হওয়ায় এবং বন্যায় ভেসে গিয়েছিল গোটা অঞ্চল। সাধারণ মানুষ অন্যত্র সরে গিয়েছিল বসবাসের জন্য। তলিয়ে গিয়েছিল মন্দিরটিও। এখন সেই জায়গায় বালির খনি। সম্প্রতি বালি খননের সময় হঠাৎ বেরিয়ে আসে মন্দিরটির চুড়া। অস্তিত্ব জানান দেয় ঐতিহাসিক এই নিদর্শন। বালির স্তূপ সরিয়ে উদ্ধার করা গেছে মন্দিরের একাংশ।
এই ঘটনায় উচ্ছ্বসিত প্রত্নতাত্ত্বিকরা। খুব দ্রুত সম্পূর্ণ স্থাপত্যটি উদ্ধার করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানা গেছে। চলবে পরীক্ষা নিরীক্ষাও। পুরাবিদদের ধারণা, যোগসূত্র পাওয়া যেতে পারে সমসাময়িক প্রাচীন সংস্কৃতির। চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে আঞ্চলিকদের মধ্যেও। মন্দিরের পুনরুদ্ধারে বদ্ধপরিকর তাঁরা। তাঁদের মতে, উদ্ধার হওয়া অংশটি মন্দিরের গর্ভগৃহ। গ্রামের প্রবীণ এবং পুরোহিতদের ধারণা মন্দিরটির প্রতিষ্ঠাতা স্বয়ং পরশুরাম।
বহু বছরের পুরনো এই ধ্বংসস্তূপগুলি যেন ভারতীয় সভ্যতার এক একটা খণ্ডচিত্র। যাদের পর পর সাজালে হয়তো হদিশ পাওয়া যাবে সময়রেখার মাঝের বিচ্ছিন্ন কিছু ইতিহাসের। কিছুদিন আগেও উড়িষ্যায় খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল একটি প্রাচীন মন্দির। সেটিও নদীর তলদেশে হারিয়ে গিয়েছিল। এরই মধ্যে একইভাবে অন্ধ্রপ্রদেশে পাওয়া গেল আরো একটি পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন।
আরও পড়ুন
পিরামিডের থেকেও ৮০০০ বছর পুরনো, তুরস্কের বুকে লুকিয়ে পৃথিবীর প্রাচীনতম মন্দির
Powered by Froala Editor
আরও পড়ুন
৫০০ পরিযায়ী শ্রমিকের জন্য ইফতারের আয়োজন, সম্প্রীতির নজির বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে